বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী SSKM-এ এসে হুঁশিয়ারি দেন, আন্দোলন না তুললে হস্টেল ছাড়তে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের। এর পরেই ফেসবুকে একটি পোস্ট করে শাব্বা হাকিম লিখেছেন, এই পোস্টটি ‘ডক্টরস বাই কজ’-এর তরফে। তাতে লেখা, ‘‘যদি তোমরা কেউ নিজেকে নিরাপদ নয় বোঝো, তাহলে কেপিসি-তে চলে এস ৷’’
উল্লেখ্য, পেশায় ডাক্তার শাব্বা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘এ রাজ্যের সরকারি ও অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বয়কট করেছেন ডাক্তাররা। কিন্তু জরুরি বিভাগে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মানবিকতার খাতিরেই আমরা অন্য পেশার মতো কাজ বন্ধ করতে পারি না। যদি বাস বা ট্যাক্সি ধর্মঘট হয়, তবে একজন ট্যাক্সি চালক-বাসচালকও আপনাকে পরিষেবা দেবেন না, সে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন।
advertisement
শাব্বা হাকিমের সেই ফেসবুক পোস্ট ৷
যাঁরা বলছেন, ‘অন্য রোগীদের কী দোষ?’ তাঁরা দয়া করে সরকারকে জিজ্ঞেস করুন, সরকারি হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাঁরা কেন ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতে পারলেন না? দয়া করে জিজ্ঞেস করুন, যখন ২টি ট্রাকে করে গুন্ডারা এল, কেন সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হল না? কেন হাসপাতাল চত্বরে এখনও গুন্ডারা ঘুরে বেড়াচ্ছে? শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে আমাদের। নিরাপদে কাজ করার অধিকার রয়েছে আমাদের’’। এরপরই আত্মসমালোচনার সুরে ফিরহাদ কন্যা লেখেন, ‘‘একজন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক হিসেবে আমাদের নেতৃত্বের নীরবতা দেখে আমি খুবই লজ্জিত’’।