একইসঙ্গে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানো ও স্কুলের ফি কমানোর দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। তা ছাড়া মিড ডে মিলে দুর্নীতি বন্ধ এবং মিড ডে মিলের বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের পাশাপাশি এই বিষয় নিয়েও রাজপথে নেমেছে এসএফআই।
আরও পড়ুনঃ গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন পাহাড়-নদী-চা বাগান ঘেরা উত্তরের ‘এই’ গ্রামে
advertisement
নিয়োগ দুর্নীতিতে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে এসএফআই। রাজ্য জুড়ে বেশ কিছু কর্মসূচিও নিয়েছে সংগঠন। জেলায় জেলায় যেমন কর্মসূচি করা হচ্ছে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে কলকাতাতেও এই বিষয়ে কর্মসূচি চালানো হচ্ছে। সংগঠন সূত্রে খবর, এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে আগামী দিনে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাকে হাতিয়ার করে গ্রামেগঞ্জে প্রচার চালাতে চায় সিপিএম।
আরও পড়ুনঃ ডেউয়া ফল চেনেন? খেয়েছেন কখনও? উপকার জানলে আজই বাজারে খুঁজবেন নিশ্চিত
ছাত্র সংগঠনের কর্মসূচির মাধ্যমে তারই সলতে পাকানোর কাজ চলছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে সরকারি স্কুল বন্ধ হওয়াতে প্রান্তিক মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে সেটাকেও হাতিয়ার করতে চাইছে সংগঠনের নেতৃত্ব। সংগঠনের কলকাতা জেলা সভাপতি দেবাঞ্জন যে জানিয়েছেন, “সরকারি স্কুল শিক্ষা তছনছ করে দিয়েছে তৃণমূলের সরকার। পরিকাঠামো নেই, নেই স্কুলশিক্ষায় বাড়তি বরাদ্দ, নেই ড্রপ আউট হওয়া ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরানোর পরিকল্পনা, নেই মিড ডে মিল, নেই শিক্ষক। আছে শুধু বেসরকারি তিমিদের স্কুলশিক্ষার দখল দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা, আছে বেলাগাম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, আছে স্কুলবাড়ি ফাঁকা করে রিয়েল এস্টেট মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ছক। কার্যত, তৃণমূল মানে শিক্ষার সর্বনাশ।”
তিনি আরও বলেন, “আগামিকাল, আমরা ডিআই অফিস যাব, এই সর্বনাশের হাত থেকে স্কুলশিক্ষাকে বাঁচানোর দাবি নিয়ে। সাফ কথা, যারা স্কুল গেটে তালা লাগাতে চায়, আমরা তাদের কানে তালা লাগিয়ে দেব।” তবে এই প্রথম নয়, এর আগে জেলায় জেলায় কর্মসূচি করেছেন এসএফআই। সেই কর্মসূচিতে ভাল সাড়া মিলেছে। তাই এই আন্দোলনকে আরও উচ্চ গ্রামে পৌঁছাতে চাইছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন। সেই কারণেই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
UJJAL ROY