কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের এসএফআই সমর্থক কলেজ ছাত্রী সুচরিতা দাস ও ডিএসও নেত্রী সুশ্রীতা সোরেনদের হেফাজতে নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় একক বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত একক বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগের বিরুদ্ধে পুলিশের আইজি (প্রশিক্ষণ) মুরলীধর শর্মার নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
advertisement
তাঁর নির্দেশ ছিল, নিজের পছন্দের আধিকারিকদের নিয়ে সিট গঠন করে তদন্ত করবেন আইজি মুরলীধর শর্মা। তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় সাহায্য করবে রাজ্যের স্বরাস্ট্র সচিব। বিচারপতি ঘোষের আরও নির্দেশ ছিল, হেফাজতে নির্যাতনের সেই ঘটনার তদন্তের শুনানি, রিপোর্ট জমা, চার্জশিট গঠন এবং বিচারপ্রক্রিয়া পশ্চিম মেদিনীপুর মানবাধিকার কোর্টের বিচারকের তত্ত্বাবধানে হবে।
আরও পড়ুন: বড় চাল শমীক ভট্টাচার্যের! বঙ্গ বিজেপির ৩৬ জেলা কমিটি ঘোষণা! কারা জায়গা পেল জানেন, শুনে চমকে উঠবেন
এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশের ডেপুটি সুপার এবং অতিরিক্ত সুপার। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে একক বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষেন্দু সিংহ রায় জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ও বামপন্থী সমর্থক পড়ুয়াদের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন সুশ্রিতা সোরেন এবং সুচরিতা দাসেরা। অভিযোগ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে মেদিনীপুরের মহিলা থানায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীদের হেফাজতে নির্যাতন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা দায়ের করে ২ ছাত্রী।