১৪ অগাষ্ট রাতে দুস্কৃতীরা তাণ্ডব চালায় হাসপাতালে। এই নিয়ে ফের চাপানউতোর শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। ঘটনার সময় ডিওয়াইএফআই-এর ঝান্ডা দেখা যাওয়ায় এই ঘটনার পিছনে সিপিএমের যোগ থাকার কথা বলে শাসকদল। পাল্টা সিপিএমের তরফে অভিযোগ করা হয় প্রমাণ লোপাটের জন্য তৃণমূল এই কাজ করিয়েছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ঝান্ডা দেখা যাওয়া প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, “এগুলো বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।”
advertisement
এই সবের মধ্যেই লালবাজার থেকে মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কনীনিকা ঘোষ বোস, দেবাঞ্জন দে, বর্ণনা মুখোপাধ্যায়, দ্বিধিতি রায় ও বিকাশ ঝাঁকে লালবাজারে তলব করে কলকাতা পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশ ডেকেছে আামাদের ছেলেমেয়েরা যাবে। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি যদি করে তার ফল ভুগতে হবে।”
আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে আন্দোলনে ডিওয়াইএফআইয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “আজকে যখন আমরা তাঁকে স্মরণ করছি তখন হাজারো লাখো মানুষ রাত জাগছে গোটা দেশে। তারপর দেখলাম কত অমানবিক স্বার্থপর হলে তাঁরা সমস্ত শক্তি দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার চেস্ট করছে। ওই নির্যাতিতার দেহ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল তখন বুদ্ধদার যুব সংগঠনের ছেলেমেয়ারা গাড়ির সমানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের মলেস্ট হতে হয়েছিল। তাঁদের ম্যান হ্যান্ডেল হতে হয়েছিল। আমরা মামলা করেছি। সেটা নিয়ে পুলিশ কিছু করছে। বরং, আমাদের ছাত্র যুবদের অপরাধী বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।”
শনিবার বেলা ১.৩০ মিনিট নাগাদ শুরু হয় এই অভিযান। আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবির পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় কর্মীদের ফাঁসানোর বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানিয়েছেন নেতৃত্ব।