গত শনিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার সময় মেনকাকে আটকায় অভিবাসন দফতর৷ তাঁকে জানানো হয়, তাঁর নামে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি৷ বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর মেনকা গম্ভীরকে ইডি-র তরফে নতুন করে হাজিরার নোটিস দেওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: 'আমি নিজেই ইনভেস্টিগেশন করি...', 'সত্যিই চাকরি রেডি তো?' নথি ঘেঁটে উত্তর খুঁজলেন মমতা
advertisement
সেই নোটিসে মেনকা গম্ভীরকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে বারোটায় ইডি অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল৷ সময়ের জায়গায় পিএম-এর জায়গায় লেখা ছিল এএম৷ সেই নোটিস অনুযায়ী রবিবার রাত বারোটার কিছু পরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি অফিসে পৌঁছন মেনকা গম্ভীর৷ সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী৷ তিনি নোটিস হাতে নিয়ে খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফিরে যান। এরপরে আবার নতুন করে সমন পাঠানো হয়, সেই মতো সোমবার দুপুরে হাজিরা দেন তিনি৷
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকে আসা তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক যাদের মধ্যে একজন মহিলা এবং কলকাতার দুজন আধিকারিক মেনকা গম্ভীরকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করেন৷ কয়লা পাচার মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে যেমন জিজ্ঞাসাবাদ পাশাপাশি লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ প্রত্যেকটি বয়ান রেকর্ড করা হয়৷ রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়ানের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে৷ যে সব অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস জমা করতে বলা হয়েছে সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন ব্যাঙ্কক যাচ্ছিলেন? কেন অনুমতি নেওয়া হয়নি আগে থেকে ? এমনই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন তাঁকে হতে হয় বলে সূত্রের খবর৷