এনআরএস হাসপাতাল সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালের পর কিডনি প্রতিস্থাপনের দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এনআরএস-এ বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। এনআরএসের সেন্ট্রাল ওটি কমপ্লেক্সের দোতলায় গড়ে তোলা হয়েছে ‘টুইন ওটি’। একটিতে দাতার শরীর থেকে কিডনি বের করে আনা বা ‘রিট্রিভ্যাল’-এর কাজ চলবে। অন্য ওটিতে হবে গ্রহীতার শরীরে সেই কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ। প্রতিস্থাপনের পর রোগীদের পর্যবেক্ষণের জন্য থাকছে দুই শয্যার ‘রিকভারি রুম’। রোগীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তৈরি করা হয়েছে একটি তিন শয্যার আইসিইউ’ও।
advertisement
এনআরএস হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই প্রতিস্থাপনের সব কাজই হওয়ার কথা ছিল এক থেকে দেড় বছর আগেই। কিন্তু করোনার জন্য গোটা পর্বটাই পিছিয়ে যায়। তবে এদিনের ঘটনাই যেন মধুরেণ সমাপয়েৎ।কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় হাফ ছেড়ে বেঁচেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আশার কথা, এই জটিল অপারেশনের পর বাবা এবং ছেলে দুজনেই সুস্থ আছে।
প্রসঙ্গত, পিজি’র মতো কিডনি প্রতিস্থাপনে অভিজ্ঞ হাসপাতাল প্রতিস্থাপন বন্ধ রেখেছিল বেশ কয়েক মাস। তারপর পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেও তারা শুরু করে দেয় প্রতিস্থাপন। এনআরএস হাসপাতালের নেফ্রোলজি বা কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পিনাকী মুখোপাধ্যায় জানান, "শুধুমাত্র একটি প্রতিস্থাপন করে প্রচার আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চাই অনেক শেষ পর্যায়ের কিডনি রোগী যাতে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পান।এখন থেকে নিয়মিত প্রতিস্থাপন চলবে এখানে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আজ কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ সফল হয়েছে, এর জন্য আমাদের গোটা হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রত্যেকের অবদান রয়েছে।"