কে কত আসনে প্রার্থী দিচ্ছে, কেন বলতে চাইছেন না জোটের মুখ্য শরিকরা? অধীর চৌধুরীর যুক্তি, "বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বিগত কয়েক দিনে। বেশ কিছু ছোট দল আমাদের হাত ধরতে চাইছে। আমরা যদি আগে থেকে ঘোষণা করে দিই কংগ্রেস এবং বামেদের আসন রফা. তাহলে তাঁদের কাছে ঠিক বার্তা যাবে না।" অধীর জানাচ্ছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রকে প্রাধান্য দিতে চায় যে রাজনৈতিক দল, তাঁদের সম্মান দিতে চায় বাম কংগ্রেস।
advertisement
ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে জোটে রাখতে আগ্রহই দেখিয়েছে বাম-কংগ্রেস শিবির। যদিও জোটের বড় দুই শরিকের মূল শর্ত, সেক্ষেত্রে আইএসএফ-কে মিম-এর সঙ্গ ছাড়তে হবে।
অধীরের মত, আগামী দিনে বাংলায় সরকার গড়তে চাইছে বাম-কংগ্রেস জোট। অধীর আরও বললেন, এবার লড়াই হবে ত্রিমুখী। অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস জোট একই সঙ্গে লড়বে বিজেপি এবং তৃণমূলর বিরুদ্ধে, এমনটাই বার্তা বাম-কংগ্রেসের।
এবার বিধানসভায় যে বাম-কংগ্রেস জোট করে লড়বে তা স্থির হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ধোঁয়াশা ছিল আসন সমঝোতা নিয়ে। আজকের বৈঠক থেকে অধীর-বিমানরা বার্তা দিতে চাইলেন, আর কোনও দোলাচল নে্ই। জোটে প্রায় ৪০ টি আসন চেয়েছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। মালদহেই তাঁদের ৬টি আসনের দাবি ছিল। এইসব শর্তাশর্ত পেরিয়ে সেকুলার ফ্রন্টকে কি জোটসঙ্গী করবে বাম-কংগ্রেস, এখন প্রশ্ন সেটাই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে হানা দিতে জোটে আইএসএফ-কে চাইছে বাম-কংগ্রেস।