নতুন প্রবেশ ও বাহির গেটের ফলে বিশেষ করে ব্যস্ত সময়ে এবং উৎসবের মরশুমে বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের যাতায়াত আরও স্বচ্ছন্দ হবে, যা স্টেশনে পদদলিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি প্রতিরোধে সহায়ক হবে। তাছাড়া, জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রেও এটি সহায়ক হবে। নতুন গেটটি নিরাপত্তার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি অতিরিক্ত নজরদারি এবং মনিটরিং ব্যবস্থার সুযোগ করে দেবে।
advertisement
ওয়েস্ট ক্যানেল রোড দিয়ে নতুন প্রবেশপথ চালু হওয়ার ফলে ভিড় দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। বেলিয়াঘাটা রোড, শ্যামবাজার বা সল্টলেক থেকে আসা যাত্রীরা এখন ব্যস্ত এপিসি রোড এড়িয়ে সরাসরি ওয়েস্ট ক্যানেল রোডের মাধ্যমে শিয়ালদহ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রতিদিন শিয়ালদহ স্টেশনে আসা ১৫-১৮ লক্ষ যাত্রীর জন্য এই গেট বিশেষ উপকারী হবে। শিয়ালদহ বিভাগের পক্ষ থেকে এই নির্মাণকাজ রেকর্ড সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রী দীপক নিগম, DRM/শিয়ালদহ।
শ্রী নিগম বলেন, “নতুন প্রবেশ ও বাহির গেট স্টেশনের সামগ্রিক প্রবেশযোগ্যতা উন্নত করবে এবং এই অত্যাধুনিক যাত্রী পরিষেবা স্থানীয় অর্থনীতিকেও চাঙ্গা করতে সহায়তা করবে।”বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, স্টেশনে ঢোকার এবং বেরনোর পথ আলাদা করা হবে, যাতে যাত্রীদের ভোগান্তি না হয়। নতুন লুক আনতে বাইরের পরিকাঠামোতেও বড়সড় পরিবর্তন আনা হবে। পাশাপাশি বিশ্রামকক্ষ এবং শৌচাগারগুলি সংস্কার করে আন্তর্জাতিক মানের করা হবে। এখানেই শেষ নয়। স্টেশনে বসবে অত্যাধুনিক LED ডিসপ্লে, যাতে যাত্রীরা সহজে ট্রেনের আপডেট পেতে পারেন। এছাড়া প্ল্যাটফর্মের আলোকসজ্জা আরও উন্নত করা হবে।
সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, শিয়ালদহ স্টেশনকে একেবারে বিশ্বমানের করে তোলা হবে। শিয়ালদহ স্টেশনের সব থেকে বড় সমস্যা হল অতিরিক্ত যাত্রী এবং যানজট। ব্যস্ত সময়ে প্লাটফর্ম থেকে বের হতে রীতিমতো কালঘাম ছোটে যাত্রীদের। এবার সেই সমস্যা সমাধান করতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।