সার্চ ওয়ারেন্ট দেখিয়ে তল্লাশি করা হয় এদিন সুকান্ত আচার্যের বাড়িতে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি ফোন। একটি অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনের অ্যাডমিট কার্ড। সূত্রের খবর, সুকান্ত আচার্যের শালিকার ছেলের অ্যাডমিট কার্ডও নিয়ে গিয়েছে।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে আজ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবেই তাঁর নাম প্রথম আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে। পরে তাঁকে তলবও করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এবার সেই সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে হাজির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকের দল।
advertisement
কিছু টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি সুজয়ের। যদিও তাঁর দাবি, “দিদির চিকিৎসার জন্য বাড়িতে টাকা ছিল। সেই টাকাই বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। নেওয়া হয়েছে একটি আই ফোন ও একটা অ্যানড্রয়েড ফোন।
উল্লেখ্য, যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল, তার আগের রাতেও সুকান্ত আচার্যর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। বিভিন্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছতে হলে সুকান্তের মাধ্যমেই পৌঁছতে হত। কোনও ফাইলই নাকি তাঁকে এড়িয়ে যেতে পারত না। এমনকী পার্থর সঙ্গে কারা সাক্ষাৎ করতে আসছেন, পদের দৌলতে তারও খবর থাকত সুকান্তের কাছে।
এহেন সুকান্ত আচার্যই আজ সকাল থেকে সংবাদ শিরোনামে। আমলা মহলে তাঁর পরিচিতি থাকলে আম জনতা তাঁর নাম সম্পর্কে খুব একটা অবহিত নন। জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে বেহালা পশ্চিম আসন থেকে জিতেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই ভোটে বেহালা পশ্চিম আসনে নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসার ছিলেন ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক সুকান্ত আচার্য। পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা ও পরিষদীয় মন্ত্রী হতেই দেখা যায়, তাঁর দফতরে যোগ দিয়েছেন সুকান্ত।
সুকান্তর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইডির চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শিক্ষা দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে অযোগ্যদের ইন্টারভিউতে ডাকার ব্যবস্থা করা হত। তা যাঁদের নেতৃত্বে আয়োজন করা হত তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই সুকান্ত আচার্য।
বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বেহালার বাড়িতে হানা দেন ৬-৭ জন সিবিআই আধিকারিক। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে তাঁর বাড়ির সামনে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম সামনে এনেছিলেন গোপাল দলপতি। কুন্তল ঘোষ চাকরি বিক্রির টাকা কোথায় পৌঁছে দিতেন? এই প্রশ্নের মুখেই গোপাল দলপতি ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা বলেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষ নাকি টাকা পৌঁছে দিতেন এই ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে।