ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। ওইদিনই জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই আজকের সাংগঠনিক বৈঠকের কথা প্রথম জানানো হয়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁ অবশ্য এই গ্রুপ লেফট করার বিষয়টিকে নিছক অসাবধানতার ফল বলে ব্যাখ্যা করতে চাইছেন। তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন এমন ঘটনা ঘটেছে যখন তিনি গ্রুপ লেফট করেছেন। সৌমিত্রর দাবি, অনেক গ্রুপ হ্যান্ডেল করতে হয় কাজেই অসাবধানতায় এই ধরনের ছোটখাট 'ভুল' হয়ে যায়। তা না হয় মানা গেল, কিন্তু বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন?
advertisement
এবার আর ক্ষোভ চাপলেন না সৌমিত্র খাঁ। তিনি স্পষ্টই বলছেন, বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বার্তা দেওয়া হবে। অবশ্য এরই পাশাপাশি লকডাউন বিধি মানার কথাও বলছেন সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র খাঁ-র ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ভরাডুবির মধ্যেও রেকর্ড মার্জিনে জয় এসেছে তাঁর এলাকায়। লিড রয়েছে ৪৭ হাজারের বেশি ভোটে। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের সঙ্গে অকারণ কোনও রকম বিবাদে জড়াতে চান না তিনি। লকডাউনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিতেই বৈঠক বয়কট মত সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু তিনি মুখে একথা বললেও রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, বেসুরোদের তালিকায় তিনি যে থাকতে পারেন এ বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত খবর পেয়েই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সংগঠন অমিতাভ চক্রবর্তী হেস্টিংসে ডেকেছে। কিন্তু তাতে কতটা চিঁড়ে ভিজবে তা অনুমান করা মুশকিল। কারণ অসুখের শিকড় অনেকটাই গভীরে।
