এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর লোকসভায় দলের মুখ্য সচেতকের দায়িত্ব পালন করবেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের লোকসভার নতুন উপ দলনেতা হচ্ছেন শতাব্দী রায়৷
২০০৯ সালে থেকে সাংসদ পদে রয়েছেন শতাব্দী৷ পর পর চার বার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছেন তিনি৷ সেই হিসেবে তৃণমূলের অন্যতম পুরনো এবং সিনিয়র সাংসদ বলাই যায় শতাব্দীকে৷ যদিও এতদিন দিল্লিতে সেভাবে দলের পক্ষ থেকে বড় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি তাঁকে৷ এমন কি, সংসদেও সেভাবে সামনের সারিতে দেখা যায়নি অভিনেত্রী সাংসদকে৷ এবার অবশ্য দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বই দেওয়া হল শতাব্দীকে৷
আরও পড়ুন: ইস্তফাপত্র গ্রহণ মমতার, তৃণমূলে আরও কোণঠাসা কল্যাণ! দলনেত্রীকে কী লিখলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ?
পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের আর এক মহিলা সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিবাদ যেভাবে প্রকাশ্যে চলে আসছিল, তাতে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়ছিল৷ এই পরিস্থিতিতে দু জন মহিলা সাংসদকে মুখ্যসচেতক এবং লোকসভায় দলের উপনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়াও অর্থবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
দলের এই সিদ্ধান্তে দারুণ খুশি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও৷ নতুন দায়িত্ব পাওয়ার জন্য দুই সিনিয়র সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং শতাব্দী রায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি৷