TRENDING:

Fake Vaccination Case: প্রশিক্ষণই নেই, ভুয়ো ক্যাম্পে মিমি চক্রবর্তী সহ কয়েকশো মানুষকে 'টিকা' দিয়েছেন শরৎ

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: প্রায় ২৫ বছর ধরে প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার মতো কাজ করেন৷ কিন্তু করোনার টিকা দেওয়ার সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতাই নেই তাঁর৷ প্রশিক্ষণ তো দূর অস্ত৷ এ হেন শরৎ পাত্রই প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের ভুয়ো ভ্যাকসিনের ক্যাম্পে প্রায় প্রতিদিন গড়ে একশো জনকে 'করোনার টিকার' নামে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিয়েছেন বলে অভিযোগ৷ এমন কি, গত ২২ জুন কসবায় সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকেও টিকা দিয়েছিলেন তিনি৷
advertisement

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এ দিন মধ্য কলকাতার তালতলা এলাকায় খোঁজ মিলল শরৎ পাত্রের৷ তালতলার ডাক্তার লেনের একটি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবের হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি৷ শরৎ পাত্র অবশ্য নির্লিপ্ত ভাবেই স্বীকার করেছেন, ভ্যাকসিন দেওয়া সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই তাঁর৷ শরৎবাবুর দাবি, প্রথম দিন দেবাঞ্জনের বাবা-মাকেও তিনিই টিকা দিয়েছিলেন৷ আর অতবড় মাপের আইএএস অফিসারকে দেখে তাঁরও সাহস বেড়ে গিয়েছিল৷ শরৎবাবুর দাবি, তখনও তিনি জানতেন না যে দেবাঞ্জন ভুয়ো আইএএস অফিসার৷ তিনি বলেন, 'আমাকে বলেছিল ইঞ্জেকশন দিতে হবে৷ ভ্যাকসিনের কথা কিছু জানতাম না৷' কিন্তু ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে জানার পরেও তিনি কেন কাজ চালিয়ে গেলেন, সেই প্রশ্ন উঠছে৷

advertisement

শুধু তাই নয়, এ দিন নিজের ব্যাগ থেকেই দেবাঞ্জন দেবের ক্যাম্পে ব্যবহৃত ভুয়ো ভ্যাকসিনের একটি ভায়াল বা শিশিও বের করে দেখান শরৎ পাত্র৷ এই শিশিটির উপরে করোনা টিকার লেবেল লাগানো থাকলেও তাতে কোনও ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট কিছুরই উল্লেখ ছিল না৷ হাত দিয়ে টানলেই সেই কাগজ উঠে এসে নীচে নীচের অ্যামিকাসিন অ্যান্টিবায়োটিকের লেবেল বেরিয়ে আসছে৷ তাতে অবশ্য এক্সপায়ারি ডেট রয়েছে৷ শরৎ পাত্র স্বীকার করেছেন, দেবাঞ্জনের ক্যাম্পে কাজ করতে গিয়ে এই বিষয়টি তাঁরও নজরে পড়েছে৷ এতদিন এই পেশায় থাকা সত্ত্বেও তাঁর কেন এ বিষয়ে সন্দেহ হল না, সেই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি শরৎ পাত্র৷ তিনি শুধু বলেন, 'আমি দেখলাম ও নিজে ভ্যাকসিন নিল, নিজের মা- বাবাকে ওই ভ্যাকসিন দিল৷ সাংসদ থেকে শুরু করে পুরসভার বড় বড় অফিসার সবাই এই ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাই আর সন্দেহ করিনি৷' অভিনেত্রী, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে 'ভ্যাকসিন' দেওয়ার পর শরতের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায়৷

advertisement

শরৎ জানিয়েছেন, দেবাঞ্জন দেবের পরিচিত শান্তনু মান্নার সূত্রেই তাঁর সঙ্গে ওই ভুয়ো আইএএস অফিসারের পরিচয় হয়৷ প্রথম দিন চার জনকে 'ভ্যাকসিন' দিয়েই ১৪০০ টাকা পান তিনি৷ এর পর থেকেই দেবাঞ্জনের হয়ে কাজ করছিলেন শরৎ৷

আদতে ওড়িশার বাসিন্দা শরৎ অষ্টম শ্রেণি পাশ৷ ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এখনও তাঁকে ডেকে জেরা করেনি পুলিশ৷ আজ, শনিবারই তাঁর ওড়িশা ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটা রয়েছে৷ শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশ কেন ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে শরতের সঙ্গে কথা বলল না, সেটাই প্রশ্ন৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
কলেজ পাশ যুবতীর আয়ের অভিনব আইডিয়া! বানাচ্ছেন উলের দুর্দান্ত সব জিনিস, হচ্ছে ভালই লাভ
আরও দেখুন

Shanku Santra

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷  News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Fake Vaccination Case: প্রশিক্ষণই নেই, ভুয়ো ক্যাম্পে মিমি চক্রবর্তী সহ কয়েকশো মানুষকে 'টিকা' দিয়েছেন শরৎ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল