এ দিকে শান্তনুর অভিযোগ, ওই ঘটনার পর আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী তার সঙ্গে দৃষ্টিকটু ভাবে অশালীন আচরণ করেন, এমনকি তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই নিয়ে পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান তৃণমূল সাংসদরা।
সূত্রের খবর, শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনতে চলেছে কেন্দ্র (Privilege Motion against Santanu Sen)। স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের রয়েছে। এককভাবে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অথবা রাজ্যসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রিভিলেজ কমিটির কাছে হাজিরা দিতে হবে শান্তনুকে। যা বিড়ম্বনার বিষয়। অতীতে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশে শাস্তির মুখে পড়েছেন একাধিক সংসদ। সংসদের কক্ষে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় একসঙ্গে সাতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন।
advertisement
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরো ঘটনায় বেশ চাপে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভায় দিনের ঘটনার পর তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চাননি। তার কথায়, "যা বলার তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমি কোন মন্তব্য করব না।" উল্লেখ্য, স্বাধিকার ভঙ্গ কমিটি মনে করলে অভিযুক্ত কোনও সাংসদকে একদিন থেকে পুরো অধিবেশনকালের জন্য সাসপেন্ড করার সুপারিশ করতে পারে। আবার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলে বা ক্ষমা চাইলে তেমন কোন কিছু ছাড়াই মীমাংসা হয়ে যেতে পারে। যদিও সেদিনের ঘটনায় সরকারের মনোভাব তেমন নয়। ঘটনার নিন্দা করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী এবং তিনি নিজেই জানিয়েছেন সরকারের তরফে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হবে।
Rajib Chakraborty