তিনি জানিয়েছেন, “আমি সকলের উদ্দেশ্যে জানাই আমার বৈধ MBBS ও DMRD যথাযথভাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন করা আছে এবং তার ওপর ভিত্তি করেই আমি রেডিওলজিস্ট হিসেবে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিস করি। কলকাতা ইউনিভার্সিটিতে পোস্ট গ্রেজুয়েশনে প্রথম স্থান পাওয়ার সার্টিফিকেট ও আছে যা গোল্ড মেডেলের সমান। এরপর আমি দুটো ফেলোশিপ করি একটা FIAMS ও একটা FRCP( Glasgow)। দুটোই সাম্মানিক ।এমবিবিএস ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোয়ালিফিকেশন রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক, যা বহু বছর আগেই আমার করা আছে। যেকোনো সাম্মানিক পদবি তার সঙ্গে অবশ্যই ব্যবহার করা যায় কিন্তু।”
advertisement
আরও পড়ুন: কসবার কলেজে পা রাখল মনোজিৎ-জাইব-প্রমিত! সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল নির্যাতিতার সঙ্গে, আজ ঘটনার পুনর্নির্মাণ
শান্তনু সেনের সংযোজন, ”এগুলো মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন করা যায় না। বর্তমানে ডাক্তার সুদীপ্ত রায় পরিচালিত ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল আমার FRCP রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দরখাস্ত দিতে বলে ও ১০ হাজার টাকা দিতে বলে। আমি দুটোই বহুদিন আগে দিয়েছি ।এই সাম্মানিক পদবি রেজিস্ট্রেশন করা যায় না জেনেও তারা আমার থেকে টাকা নিয়ে বসে আছে। আর গতকাল অন্যায় ভাবে দু বছরের জন্য আমার মেডিকেল রেজিস্ট্রেশন সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত মিডিয়ার সামনে ঘোষণা করেছে। আমাকে এখনও অফিসিয়ালি কোন কিছু জানায়নি। এর আগেও যতবার আমাকে নোটিস পাঠিয়েছেন প্রত্যেকবার আমাকে পাঠানোর অনেক আগে মিডিয়াকে পাঠিয়ে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ”আমি যখন গর্ভমেন্ট নমিনি হিসেবে এই কাউন্সিলের কাজ করতাম তখনও অন্যায় ভাবে আমার পেনাল কমিটি ভেঙে দিয়ে ,বারংবার মিটিং এর চিঠি না পাঠিয়ে আমি মিটিং এ যাই নাই এই অপবাদ দিয়ে গভর্নমেন্ট নমিনি পদ থেকে আমায় সরিয়ে দিয়েছে। প্রথম থেকেই তিনি আমার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ। আমার ক্ষতি করা সামাজিক সম্মানহানি করাই তার একমাত্র লক্ষ্য।”পাল্টা লড়াইয়ের অবশ্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। শান্তনু সেন বলেন, আমি আবার সকলের উদ্দেশ্যে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি লড়াই করব এবং জিতব।”
এদিকে, কাউন্সিলের চিঠি পাওয়ার পর যথাযথভাবে আবেদন করে রেজিস্ট্রেশন নথিভুক্ত করার জন্য ১০ হাজার টাকা জমা করেছেন তিনি। সেই টাকাও ফেরত দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ শান্তনুর। শান্তনু নিজে একসময়ে রাজ্য় মেডিক্যাল কাউন্সিলে সরকার মনোনীত সদস্য ছিল। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডে পর যখন তৃণমুলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে, তখন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। সেই শান্তনুকেই এবার দোষী সাব্যস্ত করল মেডিক্যাল কাউন্সিল। অভিযোগ, কাউন্সিলে নথিভুক্ত নয়, এমন ডিগ্রি ব্যবহার করছিলেন এই চিকিত্সক নেতা। তদন্তে কমিটি রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত।