এদিন প্রাতর্ভ্রমণের পরে সাম্প্রতিক বেশ কিছু রাজনৈতিক বিষয়ের প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিজেপি নেতা৷ তিনি বলেন, ‘‘দেব (অভিনেতা সাংসদ) আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই। দেবকে নিয়ে এই চলছে। দেবীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর এলাকা সন্দেশখালি জ্বলছে। মহিলারা ধর্ষিত। অত্যাচারিত। তাঁরা ঝাঁটা লাঠি নিয়ে পুলিশকে তাড়া করছেন। ওঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি ডগ ডে, চকোলেট ডে নিয়ে মেতে আছেন। এরপর ভ্যালেন্টাইন্স ডে করবেন। এরকম লোককে মানুষ কেন ভোট দেয়, যাঁদের সামান্য সেনসিটিভিটি নেই। কোনও বিবৃতি নেই। কোনও কথা নেই। একবার ওখানে যাওয়া উচিত ছিল। মহিলাদের এই দুঃখের সময় তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। এরকম দেবীদের ভোট দিলে এরকমই হবে।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, নুসরত জাহান বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ৷ সন্দেশখালি এই এলাকারই অন্তর্গত৷
এর পরেই সরাসরি নুসরতের নাম নিয়ে ভর্ৎসনা করেন দিলীপ৷ সন্দেশখালিতে জনতাকে ‘উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগে গত রবিবারই গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন বাম বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারকে৷
এদিন সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘এটার মধ্যে বিরোধীদের ভোট ভাগের রাজনীতি আছে। পুরো ইস্যুটা বিজেপি হাইজ্যাক করে নিয়েছে। বিজেপি নেতা গ্রেফতার হয়েছে। এখন সেই ইস্যু ডাইভার্ট করার জন্য শাহাজাহানের চেলা গ্রেফতার হয়েছে। আর সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছে। ওদের পালে হাওয়া দিয়ে বিরোধী ভোট ভাগের চেষ্টা চলছে। যাতে জনরোষের ফায়দা কোনও একদিকে না যায়। নুসরত জাহানকে দরকার ছিল এলাকায়। তাঁকেও পাওয়া যাচ্ছে না। শাহাজাহান নেই। ওকে তো এলাকায় দরকার ছিল।’’
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি অভিযানের দিন থেকেই উত্তপ্ত তাওয়া হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি৷ সেই সময় এলাকাবাসীর একাংশের হামলায় রক্তাক্ত আহত হন কমপক্ষে ৩ জন ইডি আধিকারিক৷ ঘটনা এখন আদালতে বিচারাধীন৷
এর পরেও শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি৷ তবে নেতা এখনও অধরা৷ এরই মাঝে এলাকার তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে এমন স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ৷ জ্বলেছে আগুনও৷ সন্দেশখালি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই জনতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে৷ গত রবিবার গ্রেফতার হয়েছেন সিপিএম নেতা নিরাপদ সর্দারও৷