প্রসঙ্গত, এবার তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও ভোটে হেরে গিয়েছেন শাসক দলের অনেক তারকা মুখ। আর তাঁদের মধ্যে অন্যতম সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপির তারকা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের কাছে হেরে যাওয়া সত্বেও সেই সায়নীকেই দলের যুব সংগঠনের সভাপতি পদে বসিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর দায়িত্ব নিয়ে সায়নী বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে মাঠে নেমেই করতে হবে। আর নতুন রাজনৈতিক ইনিংসের শুরুতেই সায়নীর নিশানায় নাগরিকত্ব ইস্যু।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে যখন সিএএ আইন তৈরি হয়েছিল, তখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। এমনকী, ২০২০ সালে দিল্লিতে হিংসাও ছড়িয়ে পড়েছিল এই আইনকে ঘিরেই। সিএএ অনুযায়ী-- বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নিপীড়িত অ-মুসলিম সংখ্যালঘু-- যথা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি ও খ্রিস্টান-- যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁদের এদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেই অনুষঙ্গেই রয়েছে এনআরসি বিতর্কও। আর রাজনৈতিক দায়িত্ব পেয়েই সেই ইস্যুর সঙ্গে সায়নী জুড়ে দিয়েছেন মোহন ভাগবতদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরে যাওয়ার বিষয়টি।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা যাক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি যাঁদের সাধারণ মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাঁদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টকে ব্লু টিক দিয়ে ভেরিফায়েড তকমা দেওয়া হয়ে থাকে। মোহন ভাগবতদেরও সেই ব্লুক টিক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা সরিয়ে নেয় ট্যুইটার। যদিও ব্লু টিক সরানোর প্রসঙ্গে ট্যুইটার জানিয়েছিল, ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে যদি কোনও প্রোফাইলে লগ ইন না করা হয়, সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী ওই অ্যাকাউন্টকে নিষ্ক্রিয় বলে ধরে নেওয়া হয়। এছাড়া এক ব্যক্তির নামে একাধিক ফেক প্রোফাইল আছে কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যাতে ফেক নিউজ ছড়ানোয় রাশ টানা যায়। আর এই যুক্তিতেই উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, মোহন ভাগবত, সুরেশ সোনি, অরুণ কুমার, সুরেশ ভাইয়াজি যোশী এবং কৃষ্ণ কুমারের মতো আরএসএস নেতাদের অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তা নিয়ে তোলপাড় হলে ব্লু টিক ফিরিয়ে দেয় ট্যুইটার।
