গোটা দেশ জুড়ে আন্দোলন চলছে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও আরজি করের প্রতিবাদ পৌঁছে গিয়েছে। এদিকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরাও আন্দোলনে নেমেছেন। চলছে কর্মবিরতি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারাও গিয়েছিলেন আরজি করে। সেখানে আরজি করের আধিকারিকদের পাশাপাশি আন্দোলনকারীরাও ছিলেন। কিন্তু তাতেও কাটেনি জট। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনেও সাড়া মেলেনি।
advertisement
আরও পড়ুন: সুখবর! এবার টাকা ফেরত পাবেন রোজভ্যালির আমানতকারীরা! কত টাকা পাবেন, কীভাবে আবেদন জানুন
প্রসঙ্গত, বুধবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে আরজি করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন মমতা। তাঁর একটি মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সেই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মেয়ো রোডের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আমার সমর্থন আছে। ওরা বন্ধুর জন্য আন্দোলন করছে। আপনাদের ক্ষোভ আছে। অভিমান আছে। আমি সেটা বুঝি। কিন্তু এ বার আস্তে আস্তে কাজে যোগদান করুন। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলোকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি আপনাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেব না। আমরা পদক্ষেপ করলে কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে। পাসপোর্ট-ভিসা পেতে সমস্যা হবে’।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিতর্ক দানা বাঁধে। মুখ খোলেন চিকিৎসকরা। এরপরেই বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মমতা। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। আমি চিকিৎসকদের কখনোই হুমকি দিইনি। ওঁদের আন্দোলনকে আমি সমর্থন করি’। পাশাপাশি, মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজের বক্তব্যে ‘ফোঁস’, শব্দটি ব্যবহার করেন। সেই প্রসঙ্গেও এদিন নিজের পোস্টে ব্যাখা দিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, ‘ফোঁস কথাটি হল রামকৃষ্ণের বাণী। এর অর্থ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা’।