এইদিন মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “আফসার আলির নিয়োগ কে করেছিলেন? সন্দীপ ঘোষ না কি স্বাস্থ্য ভবন?” এর প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে আফসারকে চাকরিতে বহাল করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দিঘায় এবার স্কুল তৈরি করতে চায় রামকৃষ্ণ মিশন! ১০-১৫ একর জমির প্রয়োজন
advertisement
আফসারের জামিন প্রসঙ্গে জোর সওয়াল করেন তার আইনজীবী। আফসারের আইনজীবী বলেন, “মামলা করা হয়েছে জালিয়াতির বিভিন্ন ধারাতে। কিন্তু নথিতে তা দেখা যাচ্ছে না। আফসারহেফাজতে রয়েছেন, কিন্তু তদন্তে নতুন কোনও অগ্রগতি নেই। জেলে গিয়ে জেরা করা হয়নি।
এরপরে আফসারের আইনজীবী আরও বলেন, “আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বাইক পার্কিং থেকে টাকা তোলার। তাহলে সেই টাকা কোথায় গেল? অ্যাকাউন্ট থেকে কি পেয়েছে সিবিআই?। যে দুটি সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনেছে সিবিআই। তথ্য প্রমাণ কী পেয়েছে?।”
নিয়োগ প্রসঙ্গেও সিবিআইয়ের দাবি মানতে চাননি আফসারের আইনজীবী। তিনি বলেন, “আফসারকে স্বাস্থ্য ভবন নিয়োগ করেছিল। অ্যাডিশনাল সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে। সন্দীপের ব্যক্তিগত রক্ষী ছিলেন না। কাজে ক্ষেত্রে যোগাযোগ ছিল। আর্থিক ভাবে লাভবান কি ভাবে হলেন সিবিআই প্রমাণ করুক।”
আরও পড়ুন: প্রেমের সামনে ‘মামলা’ বাধা নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের
সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “চার্জশিটে বিস্তারিতভাবে ভূমিকা ব্যাখ্যা করা আছে। নথি জাল করে টেন্ডার পেয়েছে আফসার আলির বেনামি সংস্থা। সন্দীপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। পার্কিংয়ের টাকা সন্দীপ ও আফসারের কাছে যেত, সেটা সাক্ষী জানিয়েছে। হাসপাতালের ভিতরে ক্যাফে তৈরি করা থেকে শুরু করে উন্নয়নের সব কাজ করার কথা পিডব্লুডি-এর। কিন্তু সেই কাজ স্বাস্থ্যভবনকে না জানিয়ে আফসার আলির নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্র করে।”
সুমন হাজরার তরফে আজ জামিনের আবেদন করা হয়েছে আদালতে। এরপরেই আফসার আলির জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ ডিসেম্বর।