বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকেই চূড়ান্ত বিক্ষোভ প্রতিবাদে মুখর আরজি কর। বৃহস্পতিবার প্রিন্সিপাল আসতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই অধ্যক্ষ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বুধবার মধ্যরাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেইরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য যা যা করার তা করার দাবিতেই মূলত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত নার্সরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবিও তোলেন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
advertisement
বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ জানান, “১৫০ জন অতিরিক্ত সুরক্ষা বাহিনী হাসপাতালে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক দুদিন লাগবে আসতে। এখনও পর্যন্ত এমনটাই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের আস্বস্ত করে জানান প্রিন্সিপাল। কিন্তু তাঁর বিবৃতিতে কার্যত অখুশি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের নিরাপত্তা যথাযথ হল না সেই প্রশ্ন তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।
এমন পরিস্থিতিতে অফিসের বাইরেই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন আন্দোলনরত নার্স ও চিকিৎসকেরা। প্রিন্সিপালকে অফিসে ঢুকতে দেননি তাঁরা। বুধবারের ঘটনার পর কেন এখনও এফআইআর করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই দাবি তুলে সোচ্চার হন তাঁরা।