কুণাল ঘোষের অভিযোগ, ‘এরা মিথ্যা কথা বলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কথা বলে। ন্যায়বিচার আমরাও চাইছি। প্রতিবাদ মানেই পুলিশ ডেকে পাঠাচ্ছে এই ধারণা তৈরি করছে। ফেক অডিও শেয়ার করা হচ্ছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছেন। তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। চিকিৎসক কুণাল সরকারকে কেন ডাকা হয়েছে? আমি কারও নাম নিচ্ছি না। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে পেটে গজ। আবার সেই রোগীকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসক সরকারের বিরুদ্ধে তো আর ব্যবস্থা নেবে না। সতর্ক করতেই ডাকা হয়েছিল। যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল পোস্ট না হয়।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘এই স্কুলের ছাত্র ছিল নোটন!’ সন্দীপকে নিয়ে লজ্জা-ঘেন্নার ঢেউ, ধন্দেও রয়েছেন শিক্ষকরা
তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আরেকজন গিয়েছেন তাঁর গলা ভাইরাল হয়েছে। কথায় সারবত্তা থাকলে তিনি তদন্তকারীদের কাছে গিয়ে জানাতে পারতেন। আজ পুলিশের বিরুদ্ধে লোক ক্ষেপাচ্ছেন। সেদিন পেশায় রোগীকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন তো ব্যবস্থা নেননি। হাজার বার প্রতিবাদ করুন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য দেবেন না।’
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন
সুখেন্দু শেখর রায়কে তলব নিয়েও মুখ খুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমার দলের রাজ্যসভার সাংসদ সিনিয়র। তাঁর পোস্টে বিকৃত তথ্য থাকলে পুলিশ মনে করলে ডেকে কথা বলবে। এখন সেনসেটিভ সময় বলেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। এতে গেল গেল রব তোলার সময় নেই। রজ্জুতে সর্পভ্রম মানে মুশকিল। কে গ্রেফতার করবে ওনাকে? অকারণ গ্রেফতার করবে কেন পুলিশ? ওনাকে প্রতিবাদ করা থেকে কেউ আটকায়নি। প্রতিবাদ ধরনা উনি করুন। আমরাও করছি।’
এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জড়ো হন চিকিৎসকরা৷ সেখানে প্রতিবাদ কর্মসূচির পর পুলিশের নোটিস পাওয়া দুই চিকিৎসককে সঙ্গে নিয়ে লালবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাকি চিকিৎসকরা৷ তলব পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘সবাই জানেন এ রাজ্যে যে ঘৃন্য অপরাধ ঘটেছে, সেই অন্যায়কে ধামাচাপা, দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা চলছে৷ তার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ৷ আমরা চাইলে এর বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারতাম৷ কিন্তু আমরা মুখোমুখি লড়াই করতে চেয়েছিলাম৷ সবশেষে বলি, চোখ যত রাঙাবে, মিছিল তত বাড়বে৷’
আবীর ঘোষাল