একক বেঞ্চের মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন খোদ হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষেরই। আদালতের তরফে জানানো হয়, আরজি কর মামলায় নজরদারি করছে উচ্চ আদালত, এই অবস্থায় ডিভিশন বেঞ্চের ব্যাখা প্রয়োজন। পরিবার ডিভিশন বেঞ্চের ব্যাখা নিয়ে এলে শুনানি হবে এই মামলার। এমনটাই জানালেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১৫ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা! কবের মধ্যে দিতে হবে টাকা, জানিয়ে দিল রাজ্য
বিচারপতি এই দিন বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলা দেখছে। এখন কেন আপনার বক্তব্য শুনব? এই অবস্থায় আপনার কী আবেদন সেটা খতিয়ে দেখতে পারি”। পরিবারের তরফে আদালতে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্ট কোনও নজরদারি করেনি, শীর্ষ আদালতের কোনও নির্দেশে এমন কথা বলা নেই। তখন আদলতের তরফে জানানো হয়, আগে মামলা সম্পর্কে ব্যাখ্যা নিয়ে আসুক পরিবার, যে তদন্তে নজরদারি হচ্ছে কি না। তার পরেই আবেদন শুনবে হাই কোর্টের একক বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা! স্কুটারকে ধাক্কা বাসের, রক্তে ভেসে গেল চারপাশ
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই তদন্তে নতুন কিছু তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিনার হলে ধস্তাধস্তি কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ বায়োলজিক্যাল স্টেন পাওয়া গিয়েছে শুধুমাত্র সেমিনার ঘরের ভিতরে কাঠের তৈরি পাটাতনের উপরের কার্পেট থেকে। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই সিন অফ ক্রাইম নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিনার রুম থেকে ধস্তাধস্তি বা নির্যাতিতার প্রতিরোধের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয় সকলের চোখের আড়ালে সেমিনার রুমে ওই ব্যক্তি প্রবেশ করল কি করে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।