এই বিষয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, "আমি দুঃখিত। তিনি আগে এই বিষয়ে কাউকে জানাননি। জানালে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যেত। এই গত রবিবারও একসঙ্গে দিল্লি গিয়েছিলাম। হয়তো পুরনো কোনও অসন্তোষ রয়েছে। যে কেউ দল ছাড়লেই খারাপ লাগে। তবে তিনি যে অসন্তুষ্ট, তা জানা যাচ্ছিল।"
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সুখেন্দুশেখর রায় বলছেন, "লোকসভায়ে হেরে গিয়েও তাঁর দমবন্ধ লাগছিল। আবার এখন রাজ্যসভায়ও দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাঁর। এমন ঘন ঘন দমবন্ধ হলে তো মুশকিল। তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য দল ছাড়লেন নাকি অন্য রাজনৈতিক দলে বড় সুযোগের জন্য দল ছাড়লেন।"
advertisement
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দীনেশ ত্রিবেদীর বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমনকি গুজরাটে দুটি রাজ্যসভার আসনের একটিতে লড়াই করতে পারেন দীনেশ ত্রিবেদী।
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেছেন, "এটি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিজেপির এজেন্ডা মেনে যদি দলে আসতে চান, তাহলে আসবেন। উনি বর্ষীয়ান নেতা। এবং রেলমন্ত্রী ছিলেন।" বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলছেন, "উনি ভালো মানুষ তাই দল ছেড়েছেন। ভদ্রলোক তিনি এবং বাংলাকে বাঁচাতে চান তাই ছাড়লেন দল।"
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, "জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে নিয়ে যাওয়ায় দীনেশ ত্রিবেদীর অবদান ছিল।" বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, "আমার দীনেশ ত্রিবেদীর জন্য করুণা হচ্ছে। যে দল ছেড়ে যাচ্ছেন তিনি সেই দল যুবকদের উপর আক্রমণ করে। আর যেই দলে যাচ্ছেন সেই দল কৃষকদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে।"
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিং এর জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে টিকিট পেয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদীই। এর পরেই অর্জুন সিং তৃণমূল ছেড়েছিলেন। সেই অর্জুন সিংই আজ বলেছেন, "তিনি এলে স্বাগত জানাব। তৃণমূলে সবার গলা চেপে রাখা হয়।"