একইসঙ্গে দাবি, এই অর্থ পরিমান কোটি কোটি টাকা।একইসঙ্গে রেশন দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে মিলেছে “open market sale of pds Ration” লেখা হিসাবের নথিও। ইডির দাবি, খোলা বাজারে চুরির আটা কার কাছে কত বিক্রি হচ্ছে তার হিসেব রাখতো বাকিবুর। বাকিবুরের মতো মিল মালিকরা ডিস্ট্রিবিউটরদের কোটি কোটি টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রিয় টিম ইন্ডিয়া…’ ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ‘বার্তা’ দিয়ে যা লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
advertisement
ইডির আরও দাবি, মিল মালিক, ডিস্ট্রিবিউটর আর কিছু ব্যক্তি মিলে যোগসাজশ করে সাধারণ উপভোক্তাদের জন্য প্রাপ্য রেশন লুট করেছে। তদন্তে রেশন চুরি চক্রে যুক্ত ডিস্ট্রিবিউটরদের নামও ইডির হাতে এসেছে। কারা কারা বাকিবুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল তার তালিকা পেয়েছে ইডি। রেশন দুর্নীতি চক্রে সব থেকে নীচের দিকে রয়েছে এই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যক্তিরা। রেশন দুর্নীতিতে বাকিবুরের কর্মীদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি।
রেশন দুর্নীতিতে বাকিবুরের সাম্রাজ্য কী ভাবে চলত এবার সেই তথ্য জানার জন্য বাকিবুরের একধিক কোম্পানির কর্মীদের তলব করল ইডি। শুক্রবার তলব করা হয় বাকিবুরের কোম্পানির কর্মীদের। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকিবুরের সঙ্গে কাদের যোগসাজস রয়েছে?
কী ভাবে দুর্নীতি চলেছে? শুধু গম নয়, চাল দুর্নীতি নিয়েও তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর জেরায় স্বীকার করেছে যে মিল মালিকদের একটা বড় অংশ গোপনে সরাসরি এজেন্ট মারফত কম দামে কৃষকদের থেকে ধান কিনে নিত। তারপর বিভিন্ন কৃষকদের নামে সেগুলি সমবায় সমিতিতে জমা করতো। ধান জমা পরার পর মিল মালিকদের দেওয়া ভুয়ো কৃষকদের নাম এবং অ্যাকাউন্ট নম্বরে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাবদ টাকা জমা পড়ে যেত।
সেইসব অ্যাকাউন্ট থেকে তারপরে হয় নগদ টাকা তুলে নেওয়া হত নয়তো ওইসব অ্যাকাউন্ট থেকে মিল মালিকদের কাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়ে যেত। ইডি সূত্রে খবর, বাকিবুর স্বীকার করেছে যে তিনি তার অনেক কর্মী এবং তাঁর আত্মীয় পরিবার-পরিজনদের নামে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে এই ধান কেনার কালো টাকা কামানোর জন্য ব্যবহার করেছেন।
অর্পিতা হাজরা