ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের খাদ্য দফতর থেকে প্রাপ্ত রেশন কার্ডের সূত্র ধরেই তারা হিসেব কষে দেখেছেন গড়ে ৩০ শতাংশ চাল চুরি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি মাসে ডিস্ট্রিবিউটার, রেশন ডিলারদের সাহায্য নিয়ে মাসে প্রায় ৪২ কোটি টাকা তছরুপ হয়েছে, যা বছরে প্রায় ৫০০ কোটির কাছাকাছি বলে দাবি ইডির।
advertisement
আরও পড়ুন: চাল-আটা কিছুই বাদ যাচ্ছে না! দেদার লুট গরিব চাষির টাকাও, জানেন কীভাবে চুরি?
দুর্নীতির অন্যতম মাথা বাকিবুর রহমানের পরিকল্পনাতেই সরেছে এই পরিমাণ টাকা, দাবি ইডির। গম বণ্টনের ক্ষেত্রেও একইভাবে টাকা সরানো হয়েছে। সেই টাকার হিসেব কষা হচ্ছে বলে দাবি ইডির।
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির মুখোশ খুলে দেওয়ার লড়াই চালাচ্ছেন’…, মহুয়ার পাশে থাকার বার্তা তৃণমূলের
রেশনের গম থেকে দেদার আটা চুরির কথা তো আগেই সামনে এসেছিল৷ এবার একে একে সামনে এসেছে ধান থেকে টাকা লুটের প্রসঙ্গও৷ ইডি সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত তদন্তে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে, তাতে স্পষ্ট হয়েছে একটা নির্দিষ্ট মোডাস অপারেন্ডি৷ একেবারে সিস্টেম মেনে, নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই সাধারণ কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার টাকা থেকে লুট করা হত বিশাল পরিমাণে। এই দুর্নীতিতে চালকল মালিকদের পাশাপাশি সরকারি সমবায় সমিতিগুলির একটা বড় অংশও যুক্ত ছিল যোগসাজশে। কী ভাবে লুট হত কৃষকদের জন্য বরাদ্দ ন্যূনতম সহায়ক মূল্য? জানলে অবাক হবেন৷
রেশন দুর্নীতির তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরছে ইডি৷ তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, যে সমস্ত আটা কল মালিকেরা দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন, তাদের অনেকরই চালকলও রয়েছে৷ সেই চালকল মালিকদের একটা বড় অংশ সরকারি সমবায় সমিতিগুলির সঙ্গে যোগসাজশ করে কৃষকদের থেকে ধান কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতিতেও যুক্ত ছিল বলে জানতে পারা গিয়েছে তদন্তে।