রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, দুয়ারে রেশন চালিয়ে যাওয়া হবে৷ সব রেশন ডিলারদের কাছে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, যেন আর কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায়। দুয়ারে রেশন চালানোর জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা করা হোক। বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার আদালতে বলেছে এটা পাইলট প্রকল্প। কিন্তু এটা গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে পাকাপাকি ভাবে চালু হয়েছে। পাইলট প্রকল্প বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে।"
advertisement
অন্যদিকে বিশ্বম্ভরবাবুর দাবি, "গত কয়েক মাস ধরে, মানুষ বা রেশন উপভোক্তারা দোকানে এসেই রেশন নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও তাঁরা বিক্ষোভরত বা তাঁদের সমস্যা হচ্ছে, এমনটা জানাননি৷ বরং রেশন থেকে প্রাপ্ত খাদ্যদ্রব্যের গুণমান যাচাই করে তাঁরা নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাও তাঁরা বলছেন না। রাজ্য সরকার আমাদের দুয়ারে রেশন চালানোর জন্য অতিরিক্ত কমিশন, অর্থ ও হ্যান্ডলিং চার্জ দিচ্ছে। আমরা সেটা নিতে চাই না। এতে সরকারের অর্থ বাঁচবে। আমরা সুস্থভাবে রেশন দোকান থেকে পরিষেবা দিতে চাই।"
আরও পড়ুন : শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চালু হওয়ায় বাড়ছে যাত্রী, লাভের মুখ দেখছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, "অধিকাংশ ডিলার দুয়ারে রেশনের সঙ্গে ছিলেন। কিছু ডিলার বানচাল করতে আদালতে যায়। দুটো মামলা আদালতে হয়৷ আমরা জিতেছিলাম। এবার সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশ এসেছে। দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালু থাকবে৷ আমরা যা মোটামুটি শুনেছি। প্রগ্রেসিভ রিফর্মস করতে বাধা নেই। আমরা কিন্তু কিছু বাদ দিতে বলিনি। দোকান ও বাইরে দু'জায়গায় থেকে পাওয়া যাবে৷ আমরা আলাদা এজেন্সি করিনি৷ প্রায় ৭৫ টাকা প্রতি কুইন্টালে ও ৫০০০ টাকা ফিক্সড ইনসেনটিভ দিয়েছি। এছাড়া গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আমরা টাকা দিয়েছিলাম। আমরা সব সাহায্য করতে চেয়েছি। আশা করি রেশন ডিলাররা এগিয়ে আসবেন। আমরা আইনের পরিপন্থী নই। ডিলারদের অভিযোগ সঠিক ছিল না। তাই গতি বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের ভাবনা যা ছিল তাই থাকবে। ডিলারদের অনুরোধ, নতুন করে সংঘাতে যাবেন না। অসুবিধা হলে আমাদের জানান। সরকারের ঘোষিত কর্মসূচি এইভাবে বানচাল করা যায় না। গুজরাতে ওরা একই রকম পদ্ধতি নিয়েছে৷ আমাদের রেশন দোকান হয়েছে ২০৮৭৬টি । সবগ্রামে আমাদের দোকান নেই। তাই দুয়ারে রেশন প্রকল্প আমাদের চালাতে হবেই।"