পুরনো মর্গ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ সেখানে ছুঁচো, ইঁদুরের স্বর্গরাজ্য। নতুন অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নতুন মর্গের কাজ সম্পূর্ণ হবে। দ্রুত এখানে নতুন মর্গ স্থানান্তরিত করা হবে। বারাসত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় প্রথম পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং দ্বিতীয় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট একই। প্রথম পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পর গতকাল হওয়া দ্বিতীয় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অপরিবর্তিত। প্রথম রিপোর্টেও বাম দিকের চোখে যে ক্ষত চিহ্ন, সেটা কোনও প্রাণীর, সম্ভবত ইঁদুরের দাঁতের আঘাতে খুবলানো বলে মনে করা হয়। সেই একই মতামত দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্টেও উঠে আসে।
advertisement
বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহ থেকে বাঁ চোখ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। মৃত যুবক প্রীতম ঘোষের পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্তের পর দেহ গ্রহণ করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন বাঁ চোখ নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ‘ইঁদুরে চোখ উপড়ে নেওয়ার তত্ত্ব’ সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। ঘটনা আড়াল করতেই মৃতদেহের চোখে তুলসী পাতা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। তবে এদিন মর্গের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বহু দিন ধরেই মর্গের ফ্রিজিং সিস্টেম অকেজো। মৃতদেহ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিকাঠামোর অভাবের কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের লোকজনকেই বরফ কিনে দিতে হয়। প্রীতমের ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ময়নাতদন্তের পর চোখ নেই দেখে ক্ষোভ দ্বিগুণ হয়।
