রানা রায়ের বিরুদ্ধে টালা থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বেলগাছিয়া ভেটেনারি কলেজ হাউসিংয়ের এক মহিলার অভিযোগ, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে রানা রায় নানাভাবে উত্যক্ত করছেন ওই মহিলাকে।২০১৯ সাল থেকে মহিলার পিছু নিচ্ছেন রানা। আবাসনের ভিতরে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন তিনি।
ওই অধ্যাপক যে আবাসনে থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দারাও ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় চিঠি পাঠানোর অভিযোগ এনেছিলেন৷ চিঠির সঙ্গেই ওই অধ্যাপক প্রতিবেশীদের গর্ভনিরোধকও পাঠাতেন বলে অভিযোগ৷ ঠিক তার দু’দিনের মাথাতেই গ্রেফতার করা হল তাঁকে।
advertisement
শুক্রবার রাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রার হুমকি চিঠি পান৷ বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। হুমকি চিঠিতে বলা হয়, ‘যাদবপুর কাণ্ডে আপনারা সৌরভ চৌধুরীকে ফাঁসিয়েছেন।’ পাশাপাশি চিঠিতে তাঁদের প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে চিঠিতে লেখা হয়, ‘রেজিস্ট্রার এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে জুতোর মালা পরানো হবে।’ সঙ্গে অশালীন ভাষায় গালিগালাজও করা হয়েছে চিঠিতে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হুমকি চিঠিতেই রানা রায় নামে ওই অধ্যাপকের নাম ছিল৷ ওই অধ্যাপকের ঠিকানাও সেখানে দেওয়া ছিল৷ অধ্যাপক অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন৷ তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগই নেই৷
এরপরেও ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও৷ তাঁদের অভিযোগ, একাধিক বাসিন্দাকে ওই অধ্যাপক এমনই হুমকি চিঠি দিতেন৷ তার মধ্যে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ তো বটেই, গর্বনিরোধকও থাকত৷ আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীর দাবি, ওই অধ্যাপককে মুখোশ পরে ঘুরতেও দেখা যেত৷ এ নিয়ে টালা থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছেন আবাসনের একাধিক বাসিন্দা৷