উল্লেখ্য সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে গোটা বাংলায় খারাপ ফল করলেও পাহাড়ে ভালো ফল করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত এই কারণেই পুরস্কার পাচ্ছেন রাজু বিস্তা। সাম্প্রতিককালে দার্জিলিং বিজেপির বিধায়ক নীরজ তামাং জিম্বাও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে রাজু বিস্তার গুরুত্ব বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
অবশ্য় দার্জিলিংয়ের রাজু বিস্তা বা দুবরাজপুরের অনুপ সাহাকে গুরুত্ব দেওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও পরে তা প্রত্যাহার করে নেন সৌমিত্র খাঁ। সৌমিত্র খাঁর এ হেন টালবাহানা যে বিজেপি ভালো চোখে দেখছে না তা প্রমাণ করতেই বিকল্প নেতাদের গুরুত্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় বিজেপি, এমন মতও উঠে আসছে।
advertisement
বরাবরই পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুবমোর্চা শাখা গুরুত্ব পেয়েছে সর্বভারতীয় নিরিখে। এর আগে ১৯৮০-১৯৮২ সালে যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন শ্রী বিদ্যুৎ দত্ত। ১৯৮২-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শ্রী উৎপলকান্তি চক্রবর্তী।
শ্রী তাপস চ্যাটার্জি ১৯৯০-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সর্বভারতীয় সম্পাদক ও তারপর ১৯৯৩- ১৯৯৫ পর্যন্ত সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন। সেই সময় যুবমোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন শ্রী জেপি নাড্ডা। যিনি বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
সাম্প্রতিক কালেও শ্রী রাজকমল পাঠক সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ১৯৯৮- ২০০০ সাল পর্যন্ত। শ্রী সায়ন্তন বসু সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ২০১০-২০১৫ সাল পর্যন্ত। শ্রী সৌরভ সিকদার সর্বভারতীয় সম্পাদক ছিলেন ২০১৬-২০২১।