পুলিশ সূত্রে খবর, মালদহের বাসিন্দা সৌমিক মজুমদার ২০২২ সালে রাজারহাটের এক বহুতলে আসেন। মা-বাবা আর সন্তান, এই ছিল সংসার। কিন্তু পরিস্থিতি বদলে গেল কোভিডের সময়। মহামারীকালে প্রয়াত হলেন বাবা। তারপরে মা ও ছেলে একসঙ্গেই থাকতেন। পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ছিলেন সৌভিক। তবে চাকরি চলে যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। ওই অবসাদের কারণে মায়ের সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত বলে জানা যাচ্ছে। সেই অশান্তির জেরেই মাকে খুন করেছেন বলে অনুমান। কিন্তু এমন একটা কাণ্ড যে তিনি ঘটাবেন তা কেউ আঁচও করতে পারেনি।
advertisement
তবে স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন অন্য কথা। প্রত্যেকদিন ফ্ল্যাটের সামনের একটি চায়ের দোকানে আসতেন অভিযুক্ত। প্রতিদিনই বলতেন, তাঁর মাকে খুন করেছেন। শুক্রবার সকালেও ঠিক একইভাবে সেই চায়ের দোকানে আসেন। একইভাবে বলেন তাঁর মাকে খুন করেছেন। তবে এবার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করেন। কাঁপতে থাকেন সৌমিক, তারপরেই তাদের সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে খবর দেওয়া হয়। তারপরেই দেখা যায় ভয়াবহ সেই ছবি। খবর পেয়ে রাজারহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তদন্ত শুরু হয়েছে।