গত বুধবার রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলের’ কর্মসূচির মাঝেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনার অকুস্থল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লাঠি-রড হাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে বহিরাগতরা৷ তুমুল তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে জরুরি বিভাগের একাংশ৷ প্রসঙ্গত, এই জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হ’লেই উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ৷ যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক্রাইম সিন অর্থাৎ, সেমিনার হ’লে গত বুধবার রাতে কোনও ভাঙচুর চালানো হয়নি৷
advertisement
ইতিমধ্যেই টালা থানার কাছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে সিবিআউ৷ বৃহস্পতিবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজি সহ বিশেষ টিম৷
নিগৃহীতার বাড়িতে সিবিআইয়ের যে দল যাচ্ছে, সূত্রের খবর, সেই দলে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর৷
আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের
বৃহস্পতিবার মূলত কয়েকটা দলে ভাগ হয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা সিবিআই আধিকারিকদের। সিবিআই সূত্রে খবর, আর জি কর হাসপাতালে যেভাবে গত বুধবার রাতে সিবিআই বেরনোর পরে ভাঙচুর হয়েছে, তাতে প্রমাণ লোপাটের জন্যই এই ভাঙচুর কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? এছাড়া, এই ভাঙচুরের পিছনে মোটিভ কী? পুলিসের বদলে সিবিআই দিয়ে তদন্ত তা-ও কেন এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হল? সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সিবিআই কর্তারা৷ এবার তাঁরা তদন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে নির্দেশ দেবেন বলেও জানা গিয়েছে।