পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, খুন হয়ে থাকতে পারেন ওই তরুণী চিকিৎসক৷ বৃহস্পতিবার রাত ৩টে থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তাঁর৷ দেহের কলার বোনের কাছে ডান দিকে হাড়ের একটা অংশ ভাঙা৷ যদি কারও গলা হাত দিয়ে টেপা হয়ে থাকে সজোরে, এমন হাড় ভাঙতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ তা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই হাড় ভেঙে থাকতে পারে, তা নিয়ে চলছে তদন্ত৷
advertisement
তরুণীর মায়ের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে৷ এমনকি, তাঁর মেয়ের চশমাটাও ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: গলায়, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন, চাদরে রক্তের দাগ! আর জি কর কাণ্ডে ভয়াবহ তথ্য সামনে
এরই মধ্যেই সামনে এসেছে আরেক ভয়াবহ তথ্য৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, মৃত তরুণীর গলায় ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ তরুণীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক সেমিনার হলে নিচু একটি খাটের মতো জায়গায় সংজ্ঞাহীন ও বিধ্বস্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়৷ সেই সময় তাঁর শরীর নীল রঙের চাদরে ঢাকা ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ এস কে সাহা জানিয়েছেন, তরুণীর গায়ে যে চাদর ঢাকা দেওয়া ছিল তাতেও কিছু জায়গায় রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে৷
এদিন সকালে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে তরুণীর দেহ উদ্ধারের পরেই সেখানে ভিড় করে জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল৷ পৌঁছেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়৷ তিনি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা করছে মহিলা কমিশন৷ তরুণী যে এলাকার বাসিন্দা সেখানকার তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ ও মামলায় যুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছেন৷
শুক্রবার সকালে আর জি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ৷ দেহের পাশে ছিল মোবাইল, ল্যাপটপ, ব্যাগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছোট উঁচু খাটের মতো জিনিসে (মাটি থেকে একটু উঁচু) ওই তরুণীর দেহ, গায়ে নীল চাদর।