মূল অভিযোগের উঠেছে ডক্টর রুবেল মাঝি এবং ডা. শ্রীতিশ-সহ এক মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে৷ এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের বিরুদ্ধেও৷ অভিযোগে জানা গেছে, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে অন ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিকের ঘরে হুমকি দেন জেডিএফ সদস্য ডা. সীতিশ, ডা. রুবেল৷
advertisement
এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে, তাপস প্রামানিক,তিন জায়গাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউট পোস্ট, হাসপাতালের উপাধ্যক্ষের কাছে, এবং হাসপাতালে মোতায়েন সিআইএসএফের কাছে৷ বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে হাড়োয়া থানা থেকে ভাই সুজিত ঘোষকে নিয়ে আসেন দিদি গীতা ঘোষ৷
সূত্রের খবর, বাড়িতে অশান্তির জেরে বছর চল্লিশের সুজিত ঘোষ বিষ খেয়েছিলেন৷ বিকেল চারটে নাগাদ তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে আনেন গীতাদেবী৷ বিকেল চারটেয় আসলেও সন্ধে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পড়ে ছিল রোগী, তেমনটাই অভিযোগ৷ যন্ত্রণায় ছটফট করছিল রোগী, তার পরেও দেখা পাওয়া যায়নি কোনও ডাক্তারের৷ অভিযোগ উঠেছে ডিউটি থাকাকালীন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি ডা. সীতিশ৷
অভিযোগকারী ডক্টর তাপস প্রামাণিক বলেছেন, যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি আতঙ্কিত৷ যে জুনিয়ার ডাক্তাররা এই ঘটনা ঘটিয়েছে,তাদের একজনকে কোনওদিন দেখিনি। এরা প্রত্যেকে জেনারেল মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র ডাক্তার। পুলিশ রিপোর্ট অর্থাৎ মেডিকো লিগ্যাল সার্টিফিকেট তৈরি না হওয়ায় রোগীকে এমার্জেন্সি থেকে জেনারেল মেডিসিন বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানকার নার্স পুলিশ রিপোর্ট না থাকায় রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে। আমি সুপ্রিম কোর্টের আইন দেখিয়ে বলি আগে রোগীকে ভর্তি নিতে হবে চিকিৎসা শুরু করতে হবে তারপরে পুলিশ সার্টিফিকেট করা যাবে৷ এরপরেই এই জুনিয়র ডাক্তাররা আমার রুমে এসে অকথ্য ভাষায় আমাকে আক্রমণ করে৷ সিআইএসএফ না থাকলে আমাকে তারা মারতেও পারতো৷ গোটা ঘটনাটা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত৷