শুক্রবারের ঘটনা, এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান তেঘরিয়ার স্কুলশিক্ষিকা সুস্মিতা দাস। তখনই নজরে পড়ে যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৮২ হাজারা ৫৩১ হাজার টাকা গায়েব। শনিবার বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করেন তিনি। টাকা গায়েবের কথা জানানো হয় এসবিআই ব্যাঙ্কের বাগুইআটি শাখাতেও।
এরপর সোমবার মহিলার বাড়িতে যান বাগুইআটি ব্র্যাঞ্চের চিফ ম্যানেজার। জানান টাকা খোয়া যায়নি। ২০০৪ সাল থেকে তা অ্যাকাউন্টেই হোল্ডে রাখা রয়েছে। সেই টাকা তিনি ফেরতও পেয়ে যাবেন। কিন্তু কেন তা হোল্ডে রাখা হল, সুস্মিতা দাস ও তাঁর স্বামীকে তার সুদুত্তর দিতে পারেননি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চিফ ম্যানেজার।
advertisement
তাই ব্যাঙ্কের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন,
- কেন ৮২,৫৩১ টাকা 'হোল্ড' করা হল?
- সেকথা কেন জানানো হয়নি সুস্মিতা দাসকে?
- ২০০৪ সাল থেকে টাকা 'হোল্ড' হলে এতদিন পর কেন জানাল ব্যাঙ্ক?
- যদি টাকা 'হোল্ড'ই করা হয়, তাহলে এখন কেন ফেরত?
একটা উত্তরও জানা যায়নি। কারণ সাংবাদিকদের দেখেই মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন এসবিআই-এর চিফ ম্যানেজার। সিঁড়ি দিয়ে কার্যত ছুটে পালান।
দম্পতির বাড়ি থেকে বেরিয়েই বাগুইআটি থানায় যান ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। সুস্মিতা দাস ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভব্য আচরণের মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই দম্পতিকে ফোন করে কার্যত শাসানি দেন বাগুইআটি থানার আইসি। এসবিআই ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে পাল্টা বিধাননগর কমিশনারেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দম্পতি।