ভোটের ফলাফলের পরই বিজেপি থেকে পদত্যাগ করলেন দিবাকর জানা। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। যদিও শুভেন্দু-সঙ্গ ছেড়ে এখনও তিনি কোনও দলে যোগ দেননি। আপাতত দল ছাড়ার কারণ হিসেবে নিজের অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছেন দিবাকর বাবু। এরপরই মহকুমা শাসকের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি।
advertisement
যদিও ইতিমধ্যেই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, কোনও অসুস্থতা নয়, বরং বিজেপি ভোটে হেরে যাওয়াতেই পদত্যাগ করেছেন দিবাকর। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং'ও নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা সম্ভাবনা জিইয়ে তোলেন। ফল পরবর্তী হিংসা থেকে কর্মীদের না বাঁচানো গেলে পদত্যাগ করা উচিৎ বলেই মন্তব্য করেন অর্জুন। এবার তারই মধ্যে শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতার বিজেপি ত্যাগ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
দলে ভাঙনের বিষয়টি ভাবাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকেও। আর সেই কারণেই এদিন দলের রাজ্য সদর দফতরে জয়ী বিধায়কদের 'শপথবাক্য' পাঠ করান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। দলকে বেঁধে রাখার বার্তাও দেন তিনি। বাংলায় এবারের বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিজেপির অন্যতম ইস্যু ছিল রাজনৈতিক হিংসা। সেই ইস্যুকেই জিইয়ে রাখতে এবং তাকে সামনে রেখে শাসক দলের উপর চাপ বাড়াতে ইতিমধ্যে কৌশল সাজিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘তপ্ত’ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা। যা নিয়ে আজ সারা দেশ প্রতিবাদ বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছে তাঁরা। কিন্তু যেভাবে ভোটের আগে তৃণমূল ভাঙিয়ে দল ভরেছে বিজেপি, ফল প্রকাশের পর এবার তা ব্যুমেরাং হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার।