আজ সকালে ভবানীপুরের (Bhabanipur By Election) ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের রামমোহন দত্ত লেন দিয়ে যখন প্রচার করছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সেই সময়ে ওঁর দেহরক্ষী এবং আরম্ভ করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা সঙ্গে ছিলেন। হঠাৎ করেই প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীর দিকে এগিয়ে যান। প্রিয়াঙ্কা অভিযোগ করেন, ১৫ জনের বেশি সাদা পোশাকের কলকাতা পুলিশ তার প্রচারের মধ্যে মিশে ঘুরছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সেটাকে দেখাচ্ছে বিশাল জমায়েত। তিনি এও অভিযোগ করেন সেই ছবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে তার বিরুদ্ধে জমায়েতের অভিযোগ হচ্ছে। সেই সময়ে তিনি পুলিশকর্মীদের ওখানে আসতে বারণ করেন।
advertisement
আরও পড়ুন- 'ওই রকম চিঠি ১০০ পাই...২০০ ছিঁড়ি', প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যই পরবর্তী পদক্ষেপের হাতিয়ার তৃণমূলের
যে পুলিশকর্মী ওখানে ছিলেন,তিনি পাল্টান বোঝান যে তিনি তার ডিউটিই করছেন। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পুলিশ কর্মীর। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আসতে হলে পুলিশকে ইউনিফর্মে আসতে হবে, যাতে বোঝা যায় তারা পুলিশ কর্মী।
আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা এদিন সকাল থেকেই বেছে বেছে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মীদের কাছে ভোট চাইতে এগিয়ে যান। প্রথমেই তিনি যান চন্দন মুখার্জীর কাছে।তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী এবং বহু পুরনো কর্মী।রায় স্ট্রিটে প্রচারের সময় দেবব্রত রায় নামে এক তৃণমূলের একনিষ্ঠ সক্রিয় কর্মীর কাছে ভোট চান প্রিয়াঙ্কা। তাঁর সঙ্গেও রীতিমতো বচসায় জড়িয়ে পড়ে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। দেবব্রত, প্রিয়াঙ্কার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণের অভিযোগের বিরুদ্ধে বলেন, এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতা শহর নিরাপদ। এই নিয়ে তর্কাতর্কি চলে কিছু ক্ষণ।
তারপর তিনি ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম ঘোষের বাড়িতে ভোট চাইতে যান। সে সময় অসীমবাবু বাড়িতে না থাকলেও তিনি তার স্ত্রীর কাছে ভোট চেয়ে আসেন। মোটের ওপর সকাল থেকেই রীতিমতো ৭০ নম্বর ওয়ার্ড সরগরম করে রেখেছিল প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
উল্লেখ্য কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ভবানীপুর কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়েছে বিজেপি। সেই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে, সিভিল ড্রেসে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার গতিবিধির ওপর নজর রাখছে পুলিশ।