কিন্তু এই তত্ত্ব মানতে নারাজ ছাত্রের পরিবার৷ মৃত ছাত্রের বাবা কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পুলিশকে তিনি জানান, তাঁর ছেলেকে মারধর করেছেন স্কুলের শিক্ষকেরা। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই কসবার ওই স্কুলের চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
advertisement
নোটিশে স্কুলের বক্তব্য, সোমবার যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তাকে জল্পনা কল্পনার মোড়কে ভুল ভাবে দেখানো হচ্ছে৷ এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষ আতঙ্কিত৷ ছাত্রের পরিবারের মতোই তারা ব্যথিত৷ একইসঙ্গে পড়ুয়াদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হয়েছে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করতে কর্তৃপক্ষ সর্বসম্মত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আপাতত স্কুল বন্ধ রাখার৷ পরবর্তী নোটিশ না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল৷
স্কুলের এই নোটিশে নিহত ছাত্রের বাবার প্রশ্ন, একটা প্রাণের বিনিময়ে এত দিনে নিরাপত্তা নিয়ে টনক নড়ল কর্তৃপক্ষের? এত দিন কি অসুরক্ষিত ছিল পড়ুয়ারা? জিজ্ঞাসা তাঁর। অন্যদিকে স্কুলে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে আতঙ্কিত বাকি পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ। উদ্বেগ বাড়ছে পঠনপাঠন ঘিরেও। বিশেষত উঁচু ক্লাসের পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা চিন্তিত সিলেবাস সম্পূ্র্ণ করা নিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, যদি পরিস্থিতির জন্য স্কুল একান্তই বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ময়নাতদন্তের ডাক্তারদের ধারণা অনুযায়ী, উপর থেকে পড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার। মৃত্যুর কারণ কি আত্মহত্যা?নাকি পড়ে গিয়ে মৃত্যু? সেটা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ছয় তলা থেকে নিচে যেখানে পড়েছিল, সেখানে এক তলার এয়ারকন্ডিশনের আউটডোরের ইউনিটটা দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। এমনকি ভেতরে ফ্যানটা পর্যন্ত বেঁকে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রথমে ওই ইউনিটটার ওপর পড়েছিল ছাত্রটি। যে কারণে শরীরের হাড়গোড় ভাঙলেও দেহে রক্তপাত সে রকম ভাবে হয়নি।