বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার পাহাড় প্রমাণ খরচের অভিযোগ প্রায়ই তোলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। তার বিষয় অভিযোগ জানাতে স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের দ্বারস্থ হন অনেক রোগীর পরিবার। কিন্তু ‘প্রত্যাশা’র যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে কলকাতার আলিপুর এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল। পুরো টাকা দিতে না পারা রোগীর পরিবারকে হাসপাতালে বসেই বাধ্য করা হল লোন নিতে। কোনওক্রমে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা মেটাতে পেরেছিলেন ফৈয়জ হোসেন। আর বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের থেকে চড়া সুদে তাঁকে ঋণ নিতে হল দেড় লক্ষ টাকা! সেই টাকাতেই মেটানো হলো বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার খরচ!
advertisement
পরিবারের অভিযোগ পৌঁছতেই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। প্রথমেই বেসরকারি হাসপাতালের কাছে নির্দেশ যায়, রোগীকে ঋণমুক্ত করতে হবে। তারপর শুরু হয় ব্যবস্থা নেওয়া। স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের চেয়ার পার্সন অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘গোটা ঘটনাটা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিল নতুন করে তৈরি করতে বলা হয়েছে এই বেসরকারি হাসপাতালকে। এর আগেও বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল। তখনও স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন কড়া হাতে ব্যাবস্থা নিয়েছিল।’