সরকারের বক্তব্য, এক ধাক্কায় সমস্ত পুরনো বাস তুলে দিলে শহরের গণপরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। পাশাপাশি, পরিবেশের বিষয়টিও অবহেলা করা যায় না। তাই বিকল্প হিসাবে ১৫ বছর পার করা গাড়িগুলির স্বাস্থ্যপরীক্ষার ভিত্তিতে রাস্তায় চলার অনুমতি পেলে ভালো হয়। সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিসেসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘‘গাড়ির আর বয়সসীমা থাকল না। বয়সের ফাঁসে পড়ে যে গাড়ি বসে গিয়েছিল, সেগুলি ফিরে আসবে। দূষণ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাস্তায় গাড়ি চলতে পারবে।’’
advertisement
সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছিলাম, বয়সের বদলে স্বাস্থ্যপরীক্ষাকে ইস্যু করা হোক। পরিবহণ দফতর উদ্যোগী হয়েছে। আদালতের নির্দেশকে স্বাগত।’’ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছি, কোভিডের সময় প্রায় দু’বছরের বেশি সময় বাস বসে ছিল। ফলে বাস বাতিলের আগে সেই দু’বছরের মেয়াদ বাড়ানো হোক। অবশেষে এই বাসের বয়সসীমা তুলে দেওয়া হল। এতে আমরা খুশি।’’
রাস্তায় ধাপে ধাপে বেসরকারি বাসের সংখ্যা কমেছে করোনা পরবর্তী সময় থেকেই। নানা দাবিদাওয়া নিয়ে বাস মালিকরা রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তাদের৷ এই অবস্থায় আদালতের এই রায়ে পুনরায় রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ে কিনা সেটাই দেখার।
