আদালতে ইডি-র আইনজীবীর দাবি, স্লিপিং ডিরেক্টরদের নামে বেনামি সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। যা কেনা হতো নগদ টাকায় এবং তা ব্যবহার করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ইভান contrade pvt লিমিটেড শান্তনু বন্দ্যপাধ্যায়ের ছেলের নামে তৈরি করা কোম্পানি৷ এর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সম্পত্তি ( জমি, বাড়ি, সম্পত্তি, গাড়ি ) কেনা হয়েছিল ডামি ডিরেক্টরদের নামে।
শান্তনু অধস্তন কর্মীদের মাধ্যমে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যৌথ কোম্পানি খুলেছিলেন। খাতায় কলমে ডিরেক্টর বানানো হয়েছিল তাঁদের। কোম্পানি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিগনেচার অথরিটি বা ব্যবসার অ্যাক্টিভিটিস-এর ক্ষেত্রে ওই অধস্তনদের কর্মীদের দিয়েই সই করানো হতো।
advertisement
ইডি-র দাবি, শান্তনুর মোবাইল ফোন ঘেঁটে ও বয়ানে যতদূর জানা গিয়েছে, তাতে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার পরিবর্তে বিপুল টাকা পেতেন শান্তনু৷ শান্তনু একজন সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন৷ তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৬ লক্ষ টাকা। কিন্তু, আদালতের কাছে সাবমিশন লেটারে ইডি দাবি করেছে, নির্দিষ্ট বেতনের চাকরি করেও প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বানিয়েছিলেন শান্তনু। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি। সরকারি লোক হয়ে ব্যবসা তাঁর কি আদৌ ব্যবসা করার অধিকার ছিল? মানিক ভট্টাচার্যের মতো নিজের পরিবারের সদস্যদের শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবহার করেননি বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি৷
আদালতে ইডি-র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "কেস ডায়েরি দেখে নিন। ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন কী হতে চলেছে। একবার কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামগুলো দেখুন। প্রকাশ্যে বলতে পারছি না। নামগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে।" এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কারা এই প্রভাবশালী, যাঁদের নাম ভরা এজলাসে মুখে আনেননি ইডি-র আইনজীবী? নিয়োগ দুর্নীতি চক্রে আর কারা কারা যুক্ত? তবে কি অন্য কারও নির্দেশেই চলত গোটা বিষয়টা? উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে তোড়জোড়, আব্দুল লতিফ নিয়ে বড় পদক্ষেপ CBI-এর
অন্যদিকে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়র আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। দুপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ARPITA HAZRA