NIOS বা National Institute of open school। এখান থেকে Dled. 18 মাসের কোর্স। ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন। সুপ্রিম কোর্ট ডিসেম্বর, ২০২৪-এ জানায় প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় NIOS থেকে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবে। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২০২২-এ নিয়োগপ্রক্রিয়ায় সেই সুযোগ দেয়নি। হাইকোর্ট শুক্রবার নির্দেশ দিল NIOS থেকে ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মামলাকারী ১৫০ জন প্রাথমিক নিয়োগ নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২২ প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে। ডকুমেন্ট যাচাইয়ের পর চূড়ান্ত মেধাতালিকায় জায়গা পেলে চাকরি পাবে, নির্দেশ বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যে’র।
advertisement
২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এনআইওএস থেকে ডিএলএড পাশ করা কয়েকশো চাকরিপ্রার্থী। আদলত জানায়, ওই চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। সেই মতো গত ৩০ মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ নথি যাচাইয়ের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যাঁরা যাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন, তাঁদেরকেই ডেকে পাঠায় পর্ষদ। সেই কারণে ওই বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিচারপতি এদিনের রায়ে উল্লেখ করেন, ‘হাইকোর্টের মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে মামলাকারীদের মতো একই জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। পার্থক্য একটাই, তাঁরা শুধু শীর্ষ আদালতে মামলা করেননি।’
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! বিমান দুর্ঘটনায় সবাই মৃত, বেঁচে গিয়েছেন একমাত্র একজন! কে তিনি? কোন সিটে ছিলেন? দেখুন
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষা পরীক্ষা নেয় পর্ষদ। সেই পরীক্ষা ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাকরিপ্রার্থীদের পাশাপাশি বিএড করা চাকরিপ্রার্থীরাও বসেছিলেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, যাঁদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির আবেদন করতে পারবেন না। ডিএলএড প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। তবে ২০১৪ টেট পরীক্ষার সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। ফলে নতুন করে জট তৈরি হয়। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ২০২০ সালে ডিএলএড প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন। ২০২২-এ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় ওই চাকরি প্রার্থীরা ডিএলএড-এর শংসাপত্র হাতে পাননি। ফলে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। চাকরি প্রার্থীদের একাংশ আদালতে এনিয়ে মামলা করেছিলেন।
অর্ণব হাজরা