মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য “২০১৯ সালের মামলা আর এখন ২০২৪।” উত্তরে ইডির তরফ থেকে জানানো হয়, “এই দুর্নীতির তদন্তে আমরা আরও কিছু সম্পত্তি চিহ্নিত করেছি। বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।” পাল্টা বিচারপতির প্রশ্ন, “বাজেয়াপ্ত করতে এত সময় কেন লাগছে?”
ইডি জানায়, “আমরা কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছি, তার রিপোর্ট আসবে। আর কোনও সম্পত্তি আছে কিনা সেটাও খোঁজা চলছে। তাই সময় লাগছে।” এরপরেই আক্ষরিক অর্থেই অসন্তুষ্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, “যে গতিতে তদন্ত চলছে তাতে সবাই ছাড়া পেয়ে যাবে, ED আর কিছুই পাবে না।” প্রতিক্রিয়ায় ইডির সাফাই, “প্রতি পদে মামলা হচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে তদন্ত ব্যাহত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তাতে অমৃতা সিনহার পাল্টা তোপ, “আপনারা কি ভেবেছিলেন যে সবকিছু খুব মসৃণ হবে?”
advertisement
অন্যদিকে প্রাথমিকের চাকরি সংক্রান্ত এই মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের তরফে আর্জি জানিয়ে বলা হয়, “যে ৯৪ জনের চাকরি অবৈধ বলে বাতিল করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেখানে নিয়োগ শুরু হোক।” তাতে পাল্টা সওয়াল বিতর্কিত চাকরি প্রাপকদের আইনজীবীর, “পুরনো প্যানেল থেকে নিয়োগ করা যায় না। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হয়। আদালত এই নির্দেশ দিতে পারে না।” এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, আদালত ঠিক করেছে যে এবার বেআইনি চাকরি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। ১২ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্নে এদিন সত্যজিৎ রায়ের সোনার কেল্লার প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিবিআই-এর আইনজীবী। বিচারপতি যখন প্রশ্ন করেন, “আপনি ED কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এত সময় কেন লাগছে?” তাতে CBI এর আইনজীবীর বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য ছিল, “এখানে আমার সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সোনার কেল্লার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। সেখানেও গোয়েন্দারা যখন সোনার কেল্লায় যাচ্ছেন তখন তাদের কাঁটা বিছানো পথ পেরিয়ে যেতে হয়েছিল। তারা সত্য অনুসন্ধান করতে পেরেছিলেন। এখানেও আমরা আশাবাদী।”