ট্যাংরা কাণ্ডে তিন খুনের পুনর্নির্মাণ করাতে বুধবার প্রসূন দে-কে নিয়ে ট্যাংরার অতুল শুর লেনের বাড়িতে যায় পুলিশ৷ সূত্রে খবর, সেখানেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন প্রসূন৷ এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রসূন দে-কে নিয়ে ট্যাংরার বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ৷ প্রায় ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর প্রসূনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন তদন্তকারীরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছিল খড়ের গাদা, ভিতরে মহিলার দেহ! ঘুম ভেঙেই শিউড়ে উঠল ফলতা
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ে প্রিয়ম্বদার ঘরে ঢোকার সময় থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন প্রসূন৷ তখনই চোখ ছলছল করে ওঠে তাঁর৷ কিছুক্ষণ সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি৷ এর পর ঘরে ঢুকে মেয়ের বিছানার কাছে দাঁড়িয়ে কেঁদে ফেলেন প্রসূন৷ ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময়ও চোখে জল ছিল তাঁর৷
তিনিই যে বাড়ির তিন মহিলা সদস্যকে খুন করেছেন, ইতিমধ্যেই পুলিশের সামনে তা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রসূন দে৷ তাঁর আর বাঁচার ইচ্ছে নেই বলেও গতকাল আদালতে জানিয়েছেন ট্যাংরা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রসূন৷ তিনি আইনজীবীও নিতে চান না বলে জানিয়েছেন প্রসূন দে৷
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সকালে ট্যাংরার দে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বাড়ির দুই বউ এবং প্রসূনের মেয়ে প্রিয়ম্বদার দেহ৷ প্রসূন, তাঁর দাদা প্রণয় এবং প্রণয়ের কিশোর ছেলেকে ই এম বাইপাসের উপরে একটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ তার পরই ট্যাংরার এই হাড় হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ প্রসূন এবং প্রণয় পুলিশের সামনে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছেন, সপরিবারে আত্মহত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা৷