বই তো শুধু নিজের জন্যই নয়, প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ারও। আর তাই বইমেলা থেকেই সরাসরি অন্যদের কাছে বই পাঠানোর জন্য ক্রেতারা বেছে নিতে পারেন এই স্টলকে।চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ভারতীয় ডাক বিভাগের স্টল ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। ২০২৪ সালের বইমেলায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ব্যবসা হয়েছিল। কেবল স্পিডপোস্টই নয়, আধার তালিকাভুক্তি ও আপডেটের সুযোগ, নানা ধরনের স্টাম্প, স্টাম্প বুকলেট সবই থাকছে এই স্টলে। ফলে মেলায় বই কিনে, মেলা থেকেই বই উপহার পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। দ্রুততার সঙ্গে সেই কাজ করা হবে।
advertisement
বই পাঠাবেন কী করে? এটা অনেক সময় বড় ঝক্কি হয়ে যায়। এই ভাবনা থেকে পাঠককে নিস্তার দিতেই কলকাতা বইমেলাতে দেওয়া হয়েছে ডাকবিভাগের স্টল। পছন্দের বই কিনে সেখানে গিয়ে হাজির হলেই হল! মেলা থেকেই আপনার কেনা বই প্রিয়জনের কাছে পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট ঠিকানায়। তা দেশে হোক বা প্রবাসে। ইনস্ট্যান্ট মাই স্ট্যাম্প ও স্পেশাল ক্যালেন্ডারও পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগের স্টলে ৷৷ডাক বিভাগের দক্ষিণবঙ্গ অঞ্চলের পোস্টমাস্টার জেনারেল ঋজু গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাতে ভারতীয় ডাক বিভাগ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিয়ে হাজির হয়েছে। মেলায় আগত সমস্ত বইপ্রেমীরা যত খুশি বই কিনুক। কিন্তু তার ভার তাদের বইতে হবে না । বারবার দায়িত্ব নেবে ভারতীয় ডাক বিভাগ। পার্সেল বুকিং-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় বই পৌঁছে দেওয়া হবে নির্ধারিত সময়ে। শুধু নিজের ঠিকানা নয়, শহরের কলকাতার বাইরে কিংবা ভিনরাজ্যেও থাকা প্রিয়জনের কাছে পছন্দের বই পৌঁছে দেবে ডাকবিভাগ। অন্য বেসরকারি সংস্থা থেকে যথেষ্ট কম টাকায় এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। আমরা চাই বই উপহার দেওয়ার রীতিটা আবারও ফিরে আসুক। একই রকমভাবে যাঁরা ডাক টিকিট সংগ্রহ করেন, তাদের জন্য নানারকম ডাকটিকিটও এখান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঠান্ডা প্রায় উধাও, সরস্বতী পুজোয় শীত কি থাকবে? বৃষ্টির পূর্বাভাস ২ জেলায়, আবহাওয়ার বড় খবর
ঠিক তেমনি ‘মাই স্ট্যাম্পের’ জায়গায় দাঁড়িয়ে তৈরি করে নিয়ে যেতে পারবেন যে কেউ । নিজের ছবি বা পছন্দের ছবি লাগিয়ে মাই স্ট্যাম্প তৈরি করে নিয়ে যেতে পারবেন যে কেউ । এমনকি এই বইমেলাতে এসে তোলা ছবি দিয়েও মাই স্ট্যাম্প তৈরি করে দেওয়া যাবে ।”