নির্বাচন পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে, সর্বোচ্চ আদালত মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও নোটিশ দেয়নি। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে করা মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিনীত শরন ও দীনেশ মাহেশ্বরীর বেঞ্চ আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, 'ভোটের পর ইচ্ছাকৃত ভাবে সমর্থকদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। তাঁদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি-ঘর জ্বালানো হচ্ছে। সম্পত্তি লুট করা হচ্ছে। শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার জন্য অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ।'
advertisement
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের ভোটপর্ব মেটার পর থেকেই বিরোধী দল বিজেপি রাজ্যজুড়ে হিংসার অভিযোগ তুলছে। এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়ও। তিনি দিল্লি সফর করেছেন দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-সহ বিভিন্ন জায়গায়। একই ইস্যুতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গত এক মাসে তিনবার অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন। বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে শুভেন্দু অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী বিষ্ণু জৈনের মামলায় রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সহ বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এই একই বিষয়ে আগেই ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনখড়।