রবিবাসরীয় সকালে ভোরের ঠাণ্ডা হাওয়া উপভোগ করে চাদরটা আরেকটু টেনে আলসেমি ভুলেছে কলকাতা ৷ বদলে ভোররাতে অ্যালার্ম দিয়ে লাইনমুখো সব মানুষ ৷ নোট বদলের চতুর্থ দিনে আরও দুর্ভোগের আশঙ্কা ৷ রবিবার ছুটির দিনে ব্যাঙ্ক খোলা থাকায় আরও বাড়বে ভিড় ৷ শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্য এমনকী গোটা দেশে একই চিত্র ৷
advertisement
রবিবার হওয়ায় সকাল থেকে ব্যাঙ্ক ও এটিএমের বাইরে লম্বা লাইন। কিন্তু টাকা না পেয়ে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ। হাসপাতাল থেকে বিয়ে বাড়ি, বিদেশি পর্যটক থেকে সিনিয়র সিটিজেন। একেকজন একেকরকম সমস্যায় জেরবার। কোথাও আবার হাতে ধরানো হল ডিউ স্লিপ। পুরনো ৫০০ ও হাজারের নোট নিয়ে এখনও মানুষের মনে পাঁচশ-হাজার প্রশ্ন। ছুটির দিনে বাজার-আরাম মাথায় তুলে সাধারণ মানুষ সকাল থেকেই ব্যাঙ্কমুখী ৷ বেশিরভাগ মনেই আশঙ্কা আজও কি মিলবে টাকা?
ঠাঁঠা রোদ মাথায় নিয়ে প্রতিটি ব্যাঙ্ক ও এটিএমের সামনে লম্বা লাইন ৷ মানুষগুলির স্বস্তির কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এদিন শহরের ২৮ টি জায়গায় জলের গাড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিল পুরসভা ৷ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন লাইনে অপেক্ষারত মানুষ ৷
শাসক দলের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করে বাম নেতা সুজন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, উদ্যোগটি ভাল কিন্ত বড় দেরি করে উদ্যোগ নিল শাসকদল ৷ ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার একদিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই নোটের জন্য লম্বা লাইনে সামিল হয়েছে শহরবাসী ৷ সেদিন থেকেই ব্যাঙ্কের বাইরে অপেক্ষারত মানুষদের হয়রানি দূর করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে বাম দলের যুব নেতা ও কর্মীরা ৷ কখনও তৃষ্ণার্ত মানুষকে ঠাণ্ডা জল কখনও ফর্ম ফিলআপে সাহায্য করে সাধারণ মানুষের হয়রানি কম করার চেষ্টা করছে বাম দল ৷
নোট বদল নিয়ে বাম ও তৃণমূলের এক সুর হলেও, এই পরিস্থিতির রাজনৈতিক ফায়দা তুলে সাধারণের কাছাকাছি আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন দু’পক্ষই ৷ বঙ্গের রাজনীতির ময়দানে জলই এখন নতুন রঙ্গ ৷