শুক্রবার গান্ধি মূর্তিতে যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের চাকুরী প্রার্থীদের ২২৩ দিন অবস্থানের সমর্থনে এদিন পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদ মঞ্চে হয়ে বক্তব্য ও গণসংগীতে সংহতি জ্ঞাপন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক সরিৎ চক্রবর্তী, মেহুলি চক্রবর্তী ও গণ কবিয়াল নীতীশ রায় উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ চাকরি প্রার্থীদের সমর্থনে সঙ্গীত পরিবেশন করার সময়ে গান করতে বাঁধা দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পালটা এর প্রতিবাদ জানান সংগঠনের সদস্যরা। যদিও পরে মিনিট দশেকের জন্য গান করার অনুমতি মেলে। পশ্চিমবঙ্গ গণ সংস্কৃতি পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সরিৎ চক্রবর্তী বলেন, 'এসএসসি চাকরি প্রার্থীদের যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ ২২৩ দিন ধরে গান্ধীমূর্তীর পাদদেশে খোলা আকাশের নীচে অবস্থান চালাচ্ছে।'
advertisement
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ধর্মঘট চলছিল, অবশেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকা শ্রমিকদের বেতন চালু
তাদের দ্রুত নিয়োগের দাবিতে ও ন্যায্য দাবির সমর্থনে আজ পশ্চিমবঙ্গ গণসংস্কৃতি পরিষদের সাংস্কৃতিক কর্মীরা অবস্থান মঞ্চে সংহতি জানাতে যান। আন্দোলনকারীদের মনোবল বাড়াতে সাংস্কৃতিক কর্মী মেহুলি খালি গলায় রবীন্দ্রনাথের গান ধরে, 'এ বার তোর মরা গাঙে বান এসেছে', তাতে গলা মেলায় সমস্ত আন্দোলনকারীরা। সঙ্গে সঙ্গে গান থামাতে ছুটে আসে পুলিশ। তাদের বক্তব্য গান গাওয়া চলবে না। তাদের কাছে আজ গান যেন GUN হয়ে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশক রণে ভঙ্গ দিতে হয়। দীর্ঘক্ষণ অবস্থান মঞ্চ গানে ও শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। আমরা পুলিশের এই অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছি।" একটা সময় 'ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না পল রোবসন', এই গানকে সামনে রেখে আন্দোলন করেছিল বামেরা। এ দিন তারই পুনরায় আবির্ভাব ঘটেছে বলেই মনে করছেন সংগঠনের নেতাদের একাংশ।
UJJAL ROY