প্রবল বিরক্ত হয়ে ফেসবুক পোস্ট করলেন শ্রীজাত। তাঁর লেখায়, ‘মাঝরাত পার হয়ে গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎসবের শব্দে বাড়িতে কান পাতা যাচ্ছে না। টানা এক সপ্তাহ সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা এই অসহ শব্দতাণ্ডব চলছে, তাদের Open Air Theatre-এ। বছরে বেশ কয়েকবার হয় এমন। শব্দের সীমাহীন প্রক্ষেপণে জানলা দরজা কাঁপছে, কান-মাথা ব্যথা করছে। আমার লেখালেখি সাতদিন হলো শিকেয়, দূর্বা কাজ থেকে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার বদলে কষ্ট পাচ্ছে। আমাদের কাজকর্মের কথা ছেড়ে দিলাম, বাড়িতে বয়স্ক, অসুস্থ মা আছেন। নিজের ঘরে শান্তিতে থাকতে পারছেন না। জানি না এর কোনও প্রতিকার আছে কিনা, তবু আমি, আমরা প্রতিবাদ জানালাম। ভবিষ্যতে অন্য কোনও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব। উৎসব যদি অন্যের অশান্তির কারণ হয় এবং লাগাতার হয়েই চলে, তবে তা স্রেফ অসভ্যতা ও অন্যায়।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক জয়জিতের পাল্টা পোস্ট, লিখলেন, ‘সরকারি সম্পত্তির সমালোচনা করলেই তাঁদের জ্বলে’
আরও পড়ুন: পাকা হয়ে গেল পরিণীতি-রাঘবের বাগদানের দিনক্ষণ? রাজনীতি-বিনোদনের গাঁটছড়া কি শীঘ্রই
পোস্টে স্ত্রী দূর্বাকে ট্যাগ করেছেন শ্রীজাত। মন্তব্য বাক্সে কেউ পুলিশের ওপর মহলে জানানোর পরামর্শ দিলেন। কেউ লিখছেন, ‘শব্দের অত্যাচার করে কোন জনহিত, আনন্দ প্লাবন ডেকে আনছে জানা নেই। ভীষণ রকম কঠোর প্রতিবাদ হওয়া দরকার!’
কিন্তু এরই পাশাপাশি কবিকে তোপ দাগতে হাজির হয়েছেন একাধিক নেটিজেন। কেউ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, কেউ নন। শ্রীজাতর সেই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়েন্স বিভাগের ফেস্ট শেষ হওয়ার পরেই শুরু হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফেস্ট। বাঙালি গায়ক থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গানের ব্যান্ড এসে পারফর্ম করে গিয়েছে।