আবারও মোদীর মুখে সেই কলকাতার দুর্গাপুজোর কথা। বললেন, “এমন সময়ে আমি কলকাতায় এসেছি, যখন দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি হচ্ছে, কুমোরটুলিতে মা দুর্গার প্রতি মা তৈরি হচ্ছে। বড়বাজার থেকে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত কলকাতা নতুন রঙে সাজছে। বিকাশের পর্বও যুক্ত হলে খুশি দ্বিগুণ হয়ে যায়।”
advertisement
কেবল মন্দির, মনীষী, দুর্গাপুজোই নয়, বাংলায় কথাও বললেন, নবজাগরণের কথা, নববিকাশের কথা! শ্যামাপ্রসাদের বাংলা ফিরিয়ে আনার কথা দিয়ে গেলেন, তবে তার জন্য আবেদনও করলেন, বাংলার মানুষ যাতে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপিকেই আনে। বছর ঘুরলেই বাংলায় মহা-ইভেন্ট। তার আগে ‘বাঙালি অস্মিতা’- এই শব্দ বন্ধ এখন বঙ্গ রাজনীতির জ্বলন্ত ইস্যু।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শাসক-বিরোধী-প্রত্যেক দলের নেতৃত্বের মুখে ঘুরেফিরে আসছে বাঙালি অস্মিতা রক্ষার কথা! বাঙালি অস্মিতা রক্ষার্থে আদতে কে ব্যর্থ, তা নিয়ে যুযুধান প্রতিপক্ষ একে অপরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে, উত্তাল হচ্ছে সংসদ। দমদমের বক্তৃতায় বাংলায় উন্নয়ন, আর সেক্ষেত্রে বিজেপি সরকার আনা ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই জুড়ে ছিল মোদীর ভাষণে। আর সবটা জুড়ে ছিল বাংলা ও বাঙালি। সে বাংলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মন্দিরের নামই হোক, কিংবা মণীষীদের নাম। আর সর্বোপরি বাংলায় গান মোদীর মুখে সবটা জুড়ে ছিল বাংলা।
‘জাগো ওঠো গাও নবজীবনের গান’, মোদির বক্তৃতায় উঠে আসে বাংলার জনপ্রিয় নবজীবনের গান।নরেন্দ্র মোদির বাংলা বাঙালি ইস্যু নিয়ে বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী, এবার ভণ্ডামি বন্ধ করুন। আপনি কি না সেই অমিত মালব্যকে পাশে বসিয়ে টেলিপ্রম্পটারে বাংলায় কথা বলছেন। কেন এই দ্বিচারিতা?‘‘