তাঁরাই জেলাশাসকের সঙ্গে পরিদর্শনকালে কেন্দ্রীয় দলের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। পঞ্চায়েত দফতর জেলাগুলিকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের নাম নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একাধিকবার কেন্দ্রীয় দল এসেছে। প্রতিবারই জেলাশাসক বা জেলা প্রশাসনের কর্তারাই তাঁদের সামলেছেন। কেন্দ্রীয় দল প্রতিবারই কিছু সুপারিশ করেছেন রাজ্যের কাছে। তা কার্যকরের পর তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই মতো গত ৬ মার্চ ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ রাজ্য পাঠিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি বিক্রি! এবার নজরে প্রকাশ সাহা
সেই রিপোর্ট কতটা বাস্তবসম্মত তা খতিয়ে দেখতে এবার কেন্দ্রীয় দলের আসা। এবার তাই কেন্দ্রীয় দলকে গাইড করার জন্য জেলা প্রশাসনের উপর নির্ভর না করে পঞ্চায়েতের রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের পাঠানো হচ্ছে। এই দশ জেলা হল মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, দার্জিলিং, কালিম্পং। কেন্দ্রীয় দলকে জেলা পরিদর্শন করার পনেরো দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহিলারা চাইলে কী করতে পারেন, দেখে নিল মালদহ! যা ঘটল, অবিশ্বাস্য মনে হলেও একেবারেই বাস্তব
প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় দলে যুগ্ম সচিব ও মন্ত্রকের অধিকর্তারা রয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকে নির্দেশে অবশ্য এই বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। তবে কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের আধিকারিকদের কেন রাখা হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি রাজ্যের তরফে। চলতি সপ্তাহের শেষ থেকেই এই কেন্দ্রীয় দলের আধিকারিকরা পরিদর্শন শুরু করবেন বিভিন্ন জেলায় জেলায়। বিশেষত খতিয়ে দেখা হবে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের তরফে যে রিপোর্টগুলি পাঠানো হয়েছিল সেই রিপোর্টগুলির সঙ্গে কতটা বাস্তবসম্মত হয়েছে কাজ। পঞ্চায়েত দফতরের দাবি, মূলত কেন্দ্রীয় দলকে গাইড করার জন্যই রাজ্যের আধিকারিকরা থাকবেন কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়