এই দাম বৃদ্ধি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ।কোভিড পরিস্থিতি ও কড়া বিধি নিষেধের মধ্যে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন কিংবা কমেছে রোজগার। এই পরিস্থিতিতে যে ভাবে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেট্রোল, তাতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।তাতেও কোনও ফল নেই। পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দেশজুড়ে বিরোধীরা মোদি বিরোধী স্লোগান তুলেছে। কিন্তু তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই কেন্দ্রের। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দাম বৃদ্ধিতে রাশ টানেনি এখনও। উৎপাদন শুল্ক ছেঁটে অন্তত সামান্য স্বস্তি দেওয়ার পথে হাঁটেনি কেন্দ্রও।
advertisement
শহর কলকাতায় যখন সেঞ্চুরি থেকে কয়েক পয়েন্ট দূরে দাঁড়িয়ে পেট্রোলের দাম, তখন উপভোক্তারা নিজেরাই কমিয়ে ফেলেছেন পেট্রোল কেনার পরিমাণ। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত এক যুবক সোমবার সকালে পেট্রোল কিনতে গিয়েছিলেন। তিনি সরাসরি বললেন, 'এবার তো সাইকেল নিয়েই বেরতে হবে। আরও এক বাইক আরোহী জানালেন, আগে যেখানে ৫/৭ লিটার একেবারে কিনে ফেলতাম, এখন প্রয়োজন মতও কিনছি। কখনও ২ বা কখনও ৩ লিটার। করোনা পরিস্থিতিতে বাইক ভরসা ছিল কর্মস্থানে যাওয়ার। কিন্তু মাস মাইনে কাটছাঁট হয়েছে, তার ওপর এই ভাবে পেট্রোলের দাম বেড়ে চলা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।'
অন্যদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সরাসরি বাজার দরে। শাক সব্জি থেকে মাছ, দাম বাড়ছে প্রতিদিনই। করোনা আবহে সাধারণ মানুষের বোঝা বাড়িয়েছে বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল।
(Amit Sarkar)